২২ ছাত্রের চুল কেটে দিলেন প্রধান শিক্ষক, তদন্ত কমিটি গঠন
২২ জন ছাত্রের চুল কেটে দিয়ে বিদ্যালয় থেকে বের করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে নাটোরের বড়াইগ্রামের জোয়াড়ী দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সেকেন্দার আলীর বিরুদ্ধে। এই ঘটনার পর বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা তাকে পাঁচ ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখেন।
স্থানীয়রা জানান, রোববার প্রধান শিক্ষক বিভিন্ন শ্রেণির ২২ জন ছাত্রের মাথার চুল এলোমেলো ভাবে কেটে দিয়ে বিদ্যালয় থেকে বের করে দেন। পরে শিক্ষার্থীরা জড়ো হয়ে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে। এসময় শিক্ষার্থীদের অভিভাবকসহ স্থানীয়রা এসে তাদের সঙ্গে যোগ দেয়। এছাড়াও বিদ্যালয়ের আট একর জমি লিজসহ তহবিলের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে প্রধান শিক্ষককে তার কক্ষে অবরুদ্ধ করে রাখেন বিক্ষোভকারীরা।
অভিযোগের ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক সেকেন্দার আলী বলেন, বখাটেদের মতো চুল রেখেছিল এই শিক্ষার্থীরা। তাদেরকে একাধিকবার সতর্ক করার পরও চুল কাটেনি। তাই ক্ষুব্ধ হয়ে নিজেই চুল কেটে দিয়েছেন। তার দাবি, শিক্ষার্থীদের হেয় করার কোনো উদ্দেশ্য ছিল না তার।
ঘটনার পর পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। তাতেও বিক্ষোভকারীরা শান্ত না হলে ইউএনও আনোয়ার পারভেজ সেখানে যান। তিনি অভিযোগ যাচাইয়ের জন্য তদন্ত কমিটি গঠন এবং তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন। ইউএনওর আশ্বাসে বিক্ষোভকারীরা অবরোধ তুলে নেয়।
ইউএনও আনোয়ার পারভেজ দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, এ ঘটনায় উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুর রউফ, বনপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ তৌহিদুর রহমান ও একাডেমিক সুপারভাইজার মনিরুজ্জামানের নেতৃত্বে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটিকে আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। প্রতিবেদন পাওয়ার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Comments