এত চাপ একদম গায়ে মাখেননি আকবর
অধিনায়ক আকবর আলি যখন ব্যাট করতে নামেন, হুট করেই দল তখন চাপে। ৬২ রানে পড়েছে ৩ উইকেট, আর ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন বেরিয়ে গেছেন চোট পেয়ে। খানিক পরই পড়ে যায় আরও ৩ উইকেট। ১০২ রানে ৬ উইকেট খুইয়ে চরম শঙ্কায় পড়ে গিয়েছিল বাংলাদেশের স্বপ্ন। এমন পরিস্থিতিতে আকবর থাকলেন ঠান্ডা মেজাজে, সামলালেন স্নায়ুচাপ, পড়লেন পরিস্থিতি, গড়লেন জুটি। শেষ পর্যন্ত টিকে থেকে দেশকে চ্যাম্পিয়ন করেই মাঠ ছাড়লেন তিনি। ম্যাচ সেরা হয়ে জানালেন, চরম বিপর্যয়ে কেমন ভাবনা চলছিল তার মাথায়।
দক্ষিণ আফ্রিকার পচেফস্ট্রুমে রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) ফাইনালে ডি/এল মেথডে ভারতকে ৩ উইকেটে হারিয়ে প্রথমবারের মতো অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের শিরোপা জিতেছে বাংলাদেশ। দেশের ক্রীড়া সাফল্যের ইতিহাসে আকবররা উঠে গেছেন চূড়ায়।
৪ বাউন্ডারি আর ১ ছক্কায় ৭৭ বলে ম্যাচ জেতানো ৪৩ রান করেন আকবর। শামিম হোসেনের সঙ্গে ২০, অভিষেক দাসের সঙ্গে ১৭, চোট কাটিয়ে আবার নামা পারভেজের সঙ্গে ৪১ ও রকিবুলের সঙ্গে অবিচ্ছিন্ন ২৭ রানের মহামূল্যবান চারটি জুটি গড়েন তিনি। প্রতিটি জুটিতেই দেখা গেছে, নিজে এক দিক আগলে রেখে সতীর্থদের দিয়ে খেলা বের করতে চেয়েছেন তিনি।
পারভেজের বিদায়ে ১৪৩ রানে পড়ে যায় ৭ উইকেট, জিততে বাকি তখনো ৩৫ রান। আবার জমেছিল শঙ্কার মেঘ। আকবর বেশ খানিকটা সময় রান নেননি, উইকেট বাঁচিয়ে পরিস্থিতি করেন শীতল। রকিবুলকে থিতু করিয়ে পরে রান বাড়িয়ে যান অনায়াসে।
রোমাঞ্চকর লড়াইয়ের পর ম্যাচ সেরার পুরস্কার নিতে গিয়ে বাংলাদেশ অধিনায়ক জানালেন, পুরো পরিস্থিতি ছিল তার নিয়ন্ত্রণে, ভোগেননি স্নায়ুচাপে, ‘আমি ব্যাট করতে নামলাম, আমাদের জুটি দরকার ছিল। আমি আমার সঙ্গীদের বলেছি, আমাদের উইকেট হারানো চলবে না। পরিকল্পনা ছিল সহজ। আমরা জানতাম, ভারত সহজে হাল ছাড়বে না। তারা চ্যালেঞ্জিং দল। আমরা জানতাম, এটা ভিন্নরকমের তাড়া হবে। আমি চেয়েছি সব স্বাভাবিক রাখতে। টুর্নামেন্টের প্রথম দিকে খুব একটা ব্যাটিংয়ের সুযোগ হয়নি, আমি আজ (রবিবার) বড় কিছু করতে চেয়েছি।’
Comments