করোনায় মৃত্যু ৯১০, চীনে আক্রান্ত ৪০ হাজার
বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে আলোচিত এবং আতঙ্কের নাম করোনাভাইরাস। চীনের উহান থেকে উৎপন্ন হওয়া ভাইরাসটি ৩০টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। চীনে এটি ধারণ করেছে মহামারি আকার। দেশটিতে মৃত্যু ও আক্রান্তের সংখ্যার দিক থেকে সার্স ভাইরাসকেও পেছনে ফেলেছে নতুন করোনাভাইরাস।
চীনের সরকারি হিসাব অনুযায়ী, দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৪০ হাজার ১৭১ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন এবং মারা গেছেন ৯১০ জন। তাদের মধ্যে চীনে মারা গেছেন ৯০৮ জন।
আজ সোমবার চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশনের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে দেশটির সংবাদমাধ্যম সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট।
চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও ৯৭ জন মারা গেছেন। এছাড়া, আজ সকাল পর্যন্ত ৩ হাজার ৬২ জন নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪০ হাজার ১৭১ জন। এদের মধ্যে ৬ হাজার ৫০০ জনের অবস্থা গুরুতর।
নতুন ৯৭ জনের ৯১ হুবেই প্রদেশের
আজ হুবেই প্রদেশের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, হবেই প্রদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও ২ হাজার ৬১৮ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। প্রদেশটিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৩০ হাজার। রবিবার মারা যাওয়া ৯৭ জনের মধ্যে ৯১ জনই ছিলেন হুবেই প্রদেশের।
করোনাভাইরাসের নামকরণ
চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন গত শনিবার আনুষ্ঠানিকভাবে এই ভাইরাসের নাম দিয়েছে ‘নতুন করোনাভাইরাস নিউমোনিয়া’।
সার্সকে ছাড়িয়েছে করোনা
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০০২-০৩ সালে চীন এবং এশিয়ার অন্যান্য অঞ্চলে সার্স ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ৮১১ জন মারা গিয়েছিলেন। নতুন করোনাভাইরাসের তুলনায় সার্সের মৃত্যুর হার অনেক বেশি (প্রায় ১০ শতাংশ) ছিলো। সার্সে আক্রান্তের দুই শতাংশই মারা যান।
চীনের পথে আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা
রবিবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক টেড্রস অ্যাডহানম গ্রেব্রেইয়েসুস টুইটারে বলেছেন, করোনা মহামারি তদন্তে একটি বিশেষজ্ঞ দল চীন যাচ্ছে।
জানুয়ারির শেষদিকে টেড্রস বেইজিংয়ে চীনের রাষ্ট্রপতি শি জিনপিংয়ের সঙ্গে দেখা করেছিলেন এবং একটি আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ দল পাঠানোর বিষয়ে তারা একমত হয়েছিলেন।
Comments