করোনাভাইরাসের তথ্য দেওয়া চীনের সেই সাংবাদিক নিখোঁজ

করোনাভাইরাস নিয়ে আগাম সতর্কবার্তা দেওয়ায় চিকিৎসক লি ওয়েনলিয়াংকে আটক করেছিলো চীন। পরে ‘জাতীয় নায়ক’ পরিচিতি পেয়েও এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যান তিনি। তারপর থেকেই ক্ষোভে ফুঁসছিলো চীনের মানুষ। এবার জানা গেলো করোনাভাইরাস নিয়ে সারাবিশ্বকে তথ্য দেওয়া সাংবাদিক চেন কুইশির কোনও খোঁজ মিলছে না।

করোনাভাইরাস নিয়ে আগাম সতর্কবার্তা দেওয়ায় চিকিৎসক লি ওয়েনলিয়াংকে আটক করেছিলো চীন। পরে ‘জাতীয় নায়ক’ পরিচিতি পেয়েও এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যান তিনি। তারপর থেকেই ক্ষোভে ফুঁসছিলো চীনের মানুষ। এবার জানা গেলো করোনাভাইরাস নিয়ে সারাবিশ্বকে তথ্য দেওয়া সাংবাদিক চেন কুইশির কোনও খোঁজ মিলছে না।

চীনের মধ্যাঞ্চলীয় হুবেই প্রদেশের উহান থেকে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব নিয়ে সঠিক সংবাদ তুলে ধরছিলেন চেন কুইশি। এজন্য গত ২৪ জানুয়ারি থেকে সেখানে অবস্থান করছিলেন তিনি। কিন্তু গত ৬ ফেব্রুয়ারি থেকে তার সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না।

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সিএনএন এবং ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

চেন কুইশির পরিবার জানিয়েছে, সর্বশেষ গত ৬ ফেব্রুয়ারি চেন কুইশির প্রতিবেদন বিশ্বজুড়ে প্রকাশিত হয়। এরপর থেকে তাকে আর ফোনে পাওয়া যায়নি। এমনকি তাকে পাঠানো ক্ষুদেবার্তারও কোনও জবাব পাওয়া যায়নি।

ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদনে জানানো হয়, ৩৪ বছর বয়সী এই সাংবাদিক আগে থেকেই জানতেন যে তিনি আইন প্রয়োগকারী সংস্থার নজরদারিতে পড়তে পারেন। তিনি কয়েকজন বন্ধুকে তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম অ্যাকাউন্টে প্রবেশের অনুমতি দিয়েছিলেন। বন্ধুদের তিনি বলেছিলেন, ১২ ঘণ্টার মধ্যে তার কোনও খোঁজ পাওয়া না গেলে সেগুলোর পাসওয়ার্ড যেন পরিবর্তন করে ফেলা হয়।

চেন কুইশির বন্ধুরা বলেছেন, গত সপ্তাহের শেষ দিকে চীনের কর্তৃপক্ষ চেন কুইশির পরিবারকে জানায় যে, তাকে অজ্ঞাত স্থানে আলাদা করে রাখা হয়েছে।

চীন সরকারের কট্টর সমালোচক মার্শাল আর্টিস্ট এবং চেন কুইশির বন্ধু জু জিয়াওডং ইউটিউব লাইভে এসে বলেছেন, “স্টেট সিকিউরিটি ও কিংদাও পাবলিক সিকিউরিটির কর্মকর্তারা চেন কুইশির বাবা-মাকে জানান, আলাদা রাখার নামে তাকে আটক করা হয়েছে।”

জু জিয়াওডং বলেন, “চেন কুইশির মা তাদের কাছে জানতে চেয়েছিলেন, তাকে কখন এবং কোথায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে? কিন্তু এসব প্রশ্নের কোনও উত্তর দেননি তারা।”

চেন কুইশির যে বন্ধু তার টুইটার অ্যাকাউন্ট পরিচালনা করছেন তিনি রবিবার ওয়াশিংটন পোস্টকে জানিয়েছেন, জু জিয়াওডংয়ের ভিডিওটি সঠিক এবং নির্ভরযোগ্য।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে চেন কুইশির ওই বন্ধু আরও বলেন, “আমাদের কিছুই করার নেই। চেন কুইশির বাবা-মাকেও জানানো হয়নি যে সে কোথায় আছে এবং কেমন আছে। এমনকি তার সঙ্গে ফোনে কথা বলারও অনুমতি মিলছে না।”

আরও পড়ুন:

করোনাভাইরাসে ‘জাতীয় নায়ক’ খ্যাতি, করোনাভাইরাসেই মৃত্যু

Comments

The Daily Star  | English

How Islami Bank was taken over ‘at gunpoint’

Islami Bank, the largest private bank by deposits in 2017, was a lucrative target for Sheikh Hasina’s cronies when an influential business group with her blessing occupied it by force – a “perfect robbery” in Bangladesh’s banking history.

8h ago