কেজরিওয়ালের হ্যাট্রিক!

দিল্লির বিধানসভা নির্বাচনের ভোট গণনায় প্রাথমিক হিসাবে বেশ এগিয়ে রয়েছে গত দুই মেয়াদে ক্ষমতায় থাকা অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টি।
arvind kejriwal
অরবিন্দ কেজরিওয়াল। ছবি: সংগৃহীত

দিল্লির বিধানসভা নির্বাচনের ভোট গণনায় প্রাথমিক হিসাবে বেশ এগিয়ে রয়েছে গত দুই মেয়াদে ক্ষমতায় থাকা অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টি।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আজ মঙ্গলবার সকালে ২১টি কেন্দ্রে ভোট গণনা শুরু হয়েছে। গণনায় আম আদমি ৫০টির বেশি আসনে এগিয়ে রয়েছে। বিজেপি এগিয়ে রয়েছে ১৬টি আসনে।

সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্যে প্রয়োজন ৩৬টি আসন।

গত ৮ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত দিল্লি রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে ভোট পড়েছিলো ৬২.৫৯ শতাংশ। সেদিন বুথ ফেরত ভোটারদের জরিপে আম আদমির আবারও বিজয়ী হওয়ার আভাস পাওয়া গিয়েছিলো।

২০১৫ সালের নির্বাচনে কেজরিওয়ালের দল ৭০ আসনের মধ্যে ৬৭টিতে জয়ী হয়েছিলো। গত পাঁচ বছর তারা দিল্লির স্বল্পআয়ের মানুষদের বিনামূল্যে বিদ্যুৎ ও খাবার পানির ব্যবস্থা করেছে। পাশাপাশি সরকারি স্কুলের উন্নতি সাধন ও মহল্লা ক্লিনিক স্থাপন করে। নারীদের জন্যে বিনামূল্যে বাস সেবাও দলটির অন্যতম প্রশংসিত উদ্যোগ।

নির্বাচনের আগে তিনি দিল্লির প্রতিটি শিশুর জন্য বিশ্বমানের শিক্ষার ব্যবস্থা নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। এছাড়াও, দিল্লি মেট্রোকে বিশ্বের দীর্ঘতম করে তোলার কথা বলেছিলেন নির্বাচনী ইশতেহারে।

২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে সাতটি আসনের সবকটিতেই জয়ী হওয়ায় এবার বিধানসভাতেও সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী ছিলো বিজেপি।

গেরুয়া শিবিরের নির্বাচনী প্রচারে ২৭০ জন সংসদ সদস্য, ৭০ জন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং রাজ্যস্তরের নেতারা অংশ নিয়েছিলেন। প্রচারের শেষ পর্যায়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ঘরে ঘরে গিয়ে ভোট চেয়েছেন।

বিজেপির দিল্লি শাখার সভাপতি মনোজ তিওয়ারি দাবি করেছিলেন, তার দল ৪৮টি আসনে জয়ী হতে চলেছে। বুথ ফেরত জরিপকে ভুল বলে মন্তব্য করেছিলেন।

আজ সকালে সাংবাদিকদের মনোজ বলেছেন, “আমি নার্ভাস নই। দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, বিজেপির জন্যে আজকের দিনটি শুভই হবে। আমরা দিল্লিতে ক্ষমতায় আসছি। আমরা ৫৫টি আসন জিতলে অবাক হবেন না কিন্তু!”

Comments

The Daily Star  | English

How Islami Bank was taken over ‘at gunpoint’

Islami Bank, the largest private bank by deposits in 2017, was a lucrative target for Sheikh Hasina’s cronies when an influential business group with her blessing occupied it by force – a “perfect robbery” in Bangladesh’s banking history.

8h ago