প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২৮ হাজার ৮৩২ শিক্ষকের পদ শূন্য
গত বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকের ২৮ হাজার ৮৩২টি পদ শূন্য রয়েছে বলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন আজ সংসদে জানিয়েছেন।
শূন্য পদ সম্পর্কে তিনি জানান, প্রধান শিক্ষকের ৭ হাজার ১৮টি এবং সহকারী শিক্ষকের ২১ হাজার ৮১৪টি পদ শূন্য রয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, সহকারী শিক্ষকদের শূন্যপদে ১৮ হাজার ১৭৭ জনকে নিয়োগের জন্য নির্বাচিত প্রার্থীদের নামে নিয়োগপত্র জারি করা হয়েছে। তারা শিগগিরই যোগদান করবেন। প্রধান শিক্ষকের শূন্য পদে নিয়োগের জন্য পাবলিক সার্ভিস কমিশনে (পিএসসি) চিঠি দেওয়া হয়েছে।
আদালতে মামলা চলায় প্রধান শিক্ষকের পদে পদোন্নতি বন্ধ রয়েছে বলে জানান তিনি। তবুও, জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে সহকারী শিক্ষকদের প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া অব্যাহত রেখেছে সরকার।
আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মামুনুর রশিদের প্রশ্নের জবাবে এসব তথ্য দেন তিনি।
ট্রেজারি বেঞ্চের এমপি এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ২০০৯ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১ লাখ ৭৯ হাজার ৭১৭ জন শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আফজাল হোসেনের অন্য প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়া রোধে আওয়ামী লীগ সফলতা অর্জন করেছে। তিনি বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে শিক্ষার্থী ঝরে পড়ার হার ২০১০ সালের ৩৯ দশমিক ৮ শতাংশ থেকে কমে ২০১৮ সালে ১৮ দশমিক ৬ শতাংশ হয়েছে।
বর্তমান সরকার প্রাথমিক শিক্ষায় সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করেছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
সরকারি দলের সংসদ সদস্য বেনজির আহমদের প্রশ্নের জবাবে জাকির হোসেন বলেন, জাতীয় শিক্ষানীতি অনুযায়ী প্রাথমিক শিক্ষাকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, অবকাঠামো এবং পর্যাপ্ত সুযোগসুবিধা রয়েছে এমন ৭৮৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত ক্লাস শুরু করতে ইতোমধ্যে সরকার অনুমোদন দিয়েছে।
সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য সৈয়দা রুবিনা আক্তারের প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী দিপু মনি বলেন, সারাদেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে আরও ৬৫ হাজার ৬০০টি মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম স্থাপনের কাজ চলছে।
Comments