১৮ মাসের মধ্যে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
১৮ মাসের মধ্যে নতুন করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন আবিষ্কার হতে পারে বলে জানিয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেড্রস আধানম গেব্রেইয়েসাস।
গতকাল মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
টেড্রস বলেন, এই মুহূর্তে গবেষণা কাজের অন্যতম অংশ ভ্যাকসিন। এটি আবিষ্কারে সময় লাগবে। তার মানে এই নয় যে এই সময়ের মধ্যে আমরা নিরাপদ নই।
তিনি আরও বলেন, প্রথম ভ্যাকসিনটি ১৮ মাসের মধ্যে আবিষ্কার হতে পারে। তাই, আপাতত যেসব প্রতিষেধক আছে সেগুলো দিয়ে ভাইরাস প্রতিরোধ করতে হবে।
তিনি এই ভাইরাসকে বৈশ্বিক হুমকি হিসেবে চিহ্নিত করেন।
টেড্রস ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন, এই ভাইরাসে আক্রান্তদের ৯৯ শতাংশ চীনের নাগরিক। এ কারণে তারা এখন জরুরি অবস্থায় রয়েছে। তাদের সঙ্গে বিশ্বের অনেক দেশ মারাত্মক হুমকির মুখে পড়েছে।
তিনি জানিয়েছেন, ভাইরাসটির নাম দেওয়া হয়েছে কোভিড -১৯।
করোনাভাইরাস সম্পর্কে এখনও পর্যন্ত তেমন কিছু জানা যায় নি। যার কারণে এর প্রতিষেধক আবিষ্কারে সময় লাগছে বিজ্ঞানীদের।
করোনাভাইরাস কি?
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, ভাইরাস পরিবারের একটি সদস্য হলো করোনাভাইরাস। এর কারণে সাধারণ সর্দি থেকে শুরু করে শ্বাসযন্ত্রের মারাত্মক রোগ হতে পারে।
এগুলো প্রাথমিকভাবে প্রাণী থেকে মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। যেমন ভাবে ‘সার্স’ সিভেট বিড়াল থেকে এবং ‘মার্স’ এক ধরনের উটের থেকে মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছিলো।
এমন কয়েকটি করোনাভাইরাস বর্তমানে প্রাণীদের মধ্যে দেখা গেছে, যা এখনও মানুষকে আক্রান্ত করেনি।
করোনাভাইরাস নামটি ল্যাটিন শব্দ করোনা থেকে এসেছে, যার অর্থ মুকুট।
কোভিড-১৯ এর প্রতিষেধক এখনও আবিষ্কার হয়নি এবং এটি আগে কখনো মানুষের মধ্যে দেখা যায়নি। এছাড়াও, এটি ছড়িয়ে পড়ার কারণ নিয়ে নিশ্চিত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
নতুন করোনাভাইরাস কোভিড-১৯ এর উপসর্গ
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, নতুন করোনাভাইরাস কোভিড-১৯ এর উপসর্গগুলো হলো- জ্বর, কাশি, শ্বাসকষ্ট। আরও গুরুতর ক্ষেত্রে এটি নিউমোনিয়া, কিডনি অচল হয়ে যাওয়া, এমনকি মৃত্যুর কারণও হতে পারে।
Comments