রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

শিক্ষকের ধাক্কায় শিক্ষক ‘আহত’

রাবি
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়। ফাইল ছবি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ক্রপ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি বিভাগের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে একই বিভাগের অপর শিক্ষককে ধাক্কা দিয়ে ‘আহত’ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

অধ্যাপক আলী আসগর তার সহকর্মী অধ্যাপক খায়রুল ইসলামের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করেছেন।

গতকাল বুধবার দুপুর ১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদ ভবনে এ ঘটনা ঘটে। পরে ওই শিক্ষককে প্রাথমিক চিকিত্সার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয়।

অধ্যাপক খায়রুল ইসলাম তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, অধ্যাপক আলী আসগরকে তিনি স্পর্শও করেননি।

ক্রপ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি বিভাগের অফিস সহকারী জানান, তিনি সেখানে শব্দ শুনতে পান এবং অধ্যাপক আলী আসগরকে মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখেন।

অধ্যাপক আলী আসগর বলেছেন, “আমি কিছু কাগজপত্র ফটোকপি করতে ডিন অফিসের পাশে দাঁড়িয়েছিলাম। অধ্যাপক খায়রুল ইসলাম সেখানে এসে কোনও কথা না বলেই আমাকে ধাক্কা দেন। মেঝেতে পড়ে গিয়ে আমি অজ্ঞান হয়ে যাই।”

তিনি আরও বলেন, “পড়ে গিয়ে আমি মাথায় আঘাত পেয়েছি। চিকিৎসকরা সিটিস্ক্যান করার পরামর্শ দিয়েছেন।”

এমন অভিযোগের পরে অধ্যাপক খায়রুল ইসলাম জানান, অধ্যাপক আলী আসগর নতুন শিক্ষকদের কিছু গোপন নথি চুরি করে ফটোকপি করছিলেন। আমি সেখানে গিয়ে সেগুলো ফেরত চাইলে তিনি অবাক হন এবং মেঝেতে পড়ে যান।

তিনি মিডিয়ায় প্রচারের জন্য এভাবে অভিনয় করেছেন বলেও জানান অধ্যাপক খাইরুল ইসলাম।

বুধবার রাতে নতুন নিয়োগ পাওয়া তিন শিক্ষক বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের কাছে প্রফেসর আলী আসগরের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। ওই অভিযোগে তারা উল্লেখ করেছেন, অধ্যাপক আলী আসগর তাদের নথি চুরির চেষ্টা করেন।

এই অভিযোগকে মিথ্যা দাবি করেছেন অধ্যাপক আলী আসগর। তিনি বলেছেন, “সেখানে চুরি করার মতো কোনও গোপন নথি ছিল না। যদি এমন কিছু থেকেও থাকে, তাহলে সেগুলো দেখার অধিকার আমার আছে। কারণ, আমি পরিকল্পনা কমিটির একজন সদস্য।”

অধ্যাপক আলী আসগর ওই তিন শিক্ষকের নিয়োগের বিষয়ে আদালতে রিট আবেদন করেছিলেন। কিন্তু, গত ২৬ জানুয়ারি তাদের নিয়োগ দেওয়া হয়।

এ প্রসঙ্গে একই বিভাগের চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ বলেছেন, “এ ঘটনা জানার পরে অধ্যাপক আলী আসগরকে দ্রুততার সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রে পাঠানো হয়।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক লুৎফর রহমান বলেন, “ঘটনার কথা আমরা শুনেছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।”

উল্লেখ্য, গত বছরের নভেম্বরে রাজশাহীর মতিহার থানায় অধ্যাপক আলী আসগর এবং অধ্যাপক খায়রুল ইসলাম একে অপরের বিরুদ্ধে একটি সাধারণ ডায়েরি করেছিলেন।

Comments

The Daily Star  | English

Sohag’s murder exposes a society numbed by fear and brutality

It was a murder that stunned the nation, not only for its barbarity, but for what it revealed about the society we have become.

7m ago