রসুন, আদা আমদানিতে চীনের বিকল্প আছে: বাংলাদেশ ট্যারিফ কমিশন
করোনাভাইরাস নামক প্রাণঘাতী ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে চীনের মশলা সরবরাহ ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। তবে চীনের বিকল্প হিসেবে মালয়েশিয়া ও মিশর থেকে রসুন আমদানি করতে পারে বাংলাদেশ।
সম্প্রতি বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে পাওয়া বাংলাদেশ ট্যারিফ কমিশনের (বিটিসি) প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রান্নার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ উপকরণ আদা আমদানির জন্য বিকল্প হিসেবে ভারত, পাকিস্তান ও ইন্দোনেশিয়াকে বিবেচনা করা হচ্ছে।
এই সুপারিশ এমন এক সময়ে এলো যখন চীন থেকে মশলা আমদানি ব্যাহত হওয়ায়, গত এক মাস ধরে দেশীয় বাজারে রসুন এবং আদার দাম বাড়ছে।
বাজার মূল্যের তথ্য অনুসারে ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) জানিয়েছে, গতকাল পর্যন্ত ঢাকায় রসুনের মূল্য ৪৪ শতাংশ বেড়ে প্রতি কেজি ১৮০-২১০ টাকায় দাঁড়িয়েছে। আর আদার খুচরা মূল্য আগের মাসের তুলনায় আট শতাংশ বেড়ে প্রতি কেজি দাঁড়িয়েছে ১০০-১৮০ টাকা।
বিটিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই দুই মশলার বার্ষিক চাহিদা মেটাতে চীন থেকে আমদানির উপর ব্যাপকভাবে নির্ভর করতে হয় বাংলাদেশকে।
দেশে প্রতি বছর ছয় লাখ টন রসুন এবং তিন লাখ টন আদার প্রয়োজন হয়।
রসুন এবং আদা আমদানির তথ্য থেকে জানা গেছে, এই অর্থবছরের জুলাই থেক ডিসেম্বর মাসের মধ্যে আমদানি করা ৫২ হাজার ৫০০ টন রসুনের ৯৬ শতাংশ আনা হয়েছে চীন থেকে। বাকিটা ভারত এবং মায়ানমার থেকে আমদানি করা হয়েছে।
বেসরকারিভাবে ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রথম ভাগে দেশে ৬৯ হাজার ৫০০ টন আদা আমদানি করা হয়েছে। বিটিসি জানিয়েছে, এর ৪১ শতাংশ সরবরাহ করেছে চীন। ভারত ২৮ শতাংশ এবং মিয়ানমার ২১ শতাংশ সরবরাহ করেছে। বাকি তিন শতাংশ এসেছে বিশ্বের অন্যান্য দেশ থেকে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, রসুন এবং আদা রপ্তানিতে চীন বিশ্বের শীর্ষে। মোট আদার চাহিদার ৩৮ শতাংশ এবং রসুনের চাহিদার ৬৭ শতাংশ সরবরাহ করে চীন। আদা রপ্তানিতে চীনের পরেই রয়েছে ভারত ও জার্মানি। আর রসুন রপ্তানিতে স্পেন ও আর্জেন্টিনা যথাক্রমে দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে রয়েছে।
Comments