রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে এবার ইংল্যান্ডের নাটকীয় জয়

সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ইংল্যান্ডকে ১ রানে হারিয়েছিল স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকা। এক দিন পর দ্বিতীয় ম্যাচেও দেখা মিলল আরেকটি রোমাঞ্চকর লড়াইয়ের। এবারে টানটান উত্তেজনাপূর্ণ দ্বৈরথে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে শেষ হাসি হাসল সফরকারী ইংল্যান্ড। নাটকীয় জয়ে ওয়েন মরগানের দল সিরিজে ফেরাল সমতা।
england vs south africa
ছবি: এএফপি

সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ইংল্যান্ডকে ১ রানে হারিয়েছিল স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকা। এক দিন পর দ্বিতীয় ম্যাচেও দেখা মিলল আরেকটি রোমাঞ্চকর লড়াইয়ের। এবারে টানটান উত্তেজনাপূর্ণ দ্বৈরথে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে শেষ হাসি হাসল সফরকারী ইংল্যান্ড। নাটকীয় জয়ে ওয়েন মরগানের দল সিরিজে ফেরাল সমতা।

শুক্রবার ডারবানে প্রোটিয়াদের ২ রানে হারিয়েছে ইংলিশরা। টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ব্যাটসম্যানদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ৭ উইকেটে ২০৪ রান তোলে তারা। জবাবে কুইন্টন ডি ককরা পুরো ওভার খেলে থামেন ৭ উইকেটে ২০২ রানে।

জয়ের জন্য শেষ ওভারে দক্ষিণ আফ্রিকার দরকার ছিল ১৫ রান। স্ট্রাইকে ছিলেন ডোয়াইন প্রিটোরিয়াস, নন-স্ট্রাইকে রাসি ভ্যান ডার ডাসেন। টম কারানের প্রথম ডেলিভারিতে কোনো রান আসেনি। পরের দুই বলে টানা ছয় ও চার মারেন কারান। চতুর্থ ডেলিভারিতে নেন ডাবল। কিন্তু শেষ দুই বলে তিন রানের সমীকরণ মেলাতে পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকা।

পঞ্চম বলে এলবিডাব্লিউ হন ১৩ বলে ২৫ রান করা প্রিটোরিয়াস। শেষ বলে শর্ট ফাইন লেগের উপর দিয়ে বল পাঠাতে গিয়ে আদিল রশিদের হাতে ক্যাচ দেন বিয়র্ন ফরচুইন। অপরপ্রান্তে ২৬ বলে ৪৩ রানে অপরাজিত থাকা ভ্যান ডার ডাসেনের দর্শক হয়ে থাকা ছাড়া কিছুই করার ছিল না।

লক্ষ্য তাড়ায় দক্ষিণ আফ্রিকাকে উড়ন্ত শুরু এনে দিয়েছিলেন অধিনায়ক ডি কক। মাত্র ১৭ বলে হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন তিনি। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এটাই কোনো দক্ষিণ আফ্রিকান ব্যাটসম্যানের দ্রুততম ফিফটি। ২২ বলে দুটি চার ও আটটি ছয়ে ৬৫ রানে যখন তিনি সাজঘরে ফেরেন, তখন ৭.৫ ওভারে দক্ষিণ আফ্রিকার সংগ্রহ ৯২ রান। নিজের প্রথম ওভারেই ডি কককে আউট করেন মার্ক উড।

এরপর দ্রুত বিদায় নেন আরেক ওপেনার টেম্বা বাভুমা। তিনে নেমে রানের গতি বাড়াতে পারেননি ডেভিড মিলার। একপ্রান্তে উইকেট পড়তে থাকলেও অন্যপ্রান্তে ভ্যান ডার ডাসেন চেষ্টা চালিয়ে যান। শেষ ওভারে প্রিটোরিয়াসও আগ্রাসী হয়ে উঠলে জয়ের সুবাস পেতে শুরু করে দক্ষিণ আফ্রিকা। কিন্তু তাদের আক্ষেপে পুড়িয়ে ম্যাচের শেষ বলে জয় নিশ্চিত করে ইংলিশরা।

এর আগে ব্যাটিংয়ের শুরুটা ভালো হয়নি ইংল্যান্ডের। জস বাটলারকে আগেভাগে বিদায় করেন লুঙ্গি এনগিডি। দ্বিতীয় উইকেটে ৫২ রান যোগ করে দলকে বড় সংগ্রহের ভিত পাইয়ে দেন জেসন রয় ও জনি বেয়ারস্টো। রয় ২৯ বলে ৪০ ও বেয়ারস্টো ১৭ বলে ৩৫ রান করেন।

এরপর বেন স্টোকস ও মঈন আলির ঝড়ে দলটির সংগ্রহ দুইশ পেরিয়ে যায়। মঈন ১১ বলে তিনটি চার ও চারটি ছক্কায় ৩৯ রান করেন। স্টোকস চারটি চার ও দুটি ছক্কায় অপরাজিত থাকেন ৩০ বলে ৪৭ রানে। প্রোটিয়াদের হয়ে ৩ উইকেট নিতে ৪৮ রান খরচা করেন এনগিডি।

সেঞ্চুরিয়নে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে আগামীকাল রবিবার।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

ইংল্যান্ড: ২০ ওভারে ২০৪/৭ (রয় ৪০, বাটলার ২, বেয়ারস্টো ৩৫, মরগান ২৭, ডেনলি ১, স্টোকস ৪৭*, মঈন ৩৯, জর্ডান ৭, কারান ০*; ফরচুইন ০/১৫, হেন্ড্রিকস ০/৪৫, এনগিডি ৩/৪৮, ফেলুকওয়ায়ো ২/৪৭, শামসি ১/৩০, প্রিটোরিয়াস ১/১৭)

দক্ষিণ আফ্রিকা: ২০ ওভারে ২০২/৭ (বাভুমা ৩১, ডি কক ৬৫, মিলার ২১, ফন ডার ডাসেন ৪৩*, স্মাটস ১৩, ফেলোকওয়ায়ো ০, প্রিটোরিয়াস ২৫, ফরচুইন ০; মঈন ০/৩৬, কারান ২/৪৫, জর্ডান ২/৩১, রশিদ ০/৩৪, উড ২/৩৯,স্টোকস ১/১৬)

ফল: ইংল্যান্ড ২ রানে জয়ী।

সিরিজ: তিন ম্যাচের সিরিজে ১-১ ব্যবধানে সমতা।

ম্যান অব দ্য ম্যাচ: মঈন আলি।

Comments

The Daily Star  | English

Mia, wife concealed assets in tax returns

When Asaduzzaman Mia retired as the longest-serving Dhaka Metropolitan Police commissioner in 2019, by his own admission, he went home with about Tk 1.75 crore in service benefits. But that does not give a true picture of his wealth accumulation. Fact is, the career cop and his family became muc

28m ago