বাচ্চা বাঘের দলকে টাইগারদের চিঠি

রম্য

পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম টেস্টের তৃতীয় দিনে ১২৬ রানে ‘টাইগার’ রা যখন ছয় উইকেট হারিয়ে ধরাশায়ী আর ইনিংস পরাজয় এড়াতে ৮৬ রানের জন্য মরিয়া সেদিন বাচ্চা বাঘের দল বিশ্বকাপ জিতে নিয়েছে। বিজয়ের সেই দিনে ছোটদের কাছে একটি চিঠি লেখে টাইগাররা। কী ছিল সেই চিঠিতে? ক্রিকিলিকসের হাতে এসেছে সেই চিঠি। তুলে দেয়া হলো পাঠকের জন্য।   

প্রিয় শাবক,

চাইলেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমরা আমাদের সব কথা বলতে পারি না। তবে একট কথা জোর গলায় বলতে পারি, পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলায় যখন আমাদের অবস্থা নাস্তানাবুদ, তখন আমাদের চেয়ে বেশি আর কেউ তোমাদের জয় চায়নি।

দুই উইকেটে আমাদের যখন ১২৪ আর ৮৬ রানের লড়াই চলছে পাকিস্তানকে ফের ব্যাটিংয়ে পাঠাতে, তখন তোমরা অনূর্ধ্ব-১৯ ভারত দলকে ১৭০ রানে আটকে ফেলেছ। এর ঠিক তিন মিনিট পরেই নাসিম শাহ সবচেয়ে কম বয়সে যখন টেস্টে হ্যাট্রিক করল আর মাহমুদুল্লাহ হতভম্ব হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরছে, তোমরা তখন ১৭৭ রানে বেঁধে ফেলেছ ভারতকে!

আর সেই ভারতকেই কিনা তোমরা শুরু থেকে চোখ রাঙিয়ে আসছ! শরিফুল সমস্যা কী?? আর সাকিব তুমি তো থ্রো করে মাথাই ফাটিয়ে দিচ্ছিলে... পাগল! আমরা আসলে ভাবতেই পারিনি ভারতের বিপক্ষে এমনটা করা সম্ভব!

আর কেবল ভারত কেন, অন্য দেশগুলোকেও তো তোমরা আন্ডারডগ বানিয়ে ছেড়েছ। সবচেয়ে বড় কথা তোমরা এটা নিশ্চিত করেছ, কাল যাই হোক না কেন, আমাদের নিয়ে কেউ কথা বলবে না। আর সেদিক দিয়ে তোমাদের প্রতি আমাদের কৃতজ্ঞতা সীমাহীন।

তারপরও তোমাদের জন্য একটি সতর্কবার্তা। তোমাদের বর্ণাঢ্য সংবর্ধনা দেয়া হবে, নায়ক হিসেবে দেখা হবে। তবে পরবর্তী ধাপে যাওয়ার আগ পর্যন্ত তোমাদের কি রবি বিশ্বনয়ের কথা মনে থাকবে? তোমরা যেমন তার বিরুদ্ধে খেলতে গিয়ে ভয় পেয়েছিলে, তেমনটি  আমাদেরও হয়েছিল রশিদ খান এমনকি লক্ষণ সান্দাকানের মতো লেগ স্পিনারের বিরুদ্ধে খেলতে গিয়ে। দেশে যখন কোনো লেগ স্পিনার থাকে না তখন এমনই হয়।

আর গত দুই বছর? তোমরা ছিলে নিরাপত্তা বলয়ে। যেখানে কোনো শেয়ালের ধূর্ত দৃষ্টি কিংবা যারা ক্রিকেট বোঝে না এমন কোনো বোর্ড সদস্য তোমাদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়নি যে কে মাঠে নামবে। যেমনটা বলে, পরাজয়ে ভয় নেই। সেটি কিন্তু বেশিদিন টিকবে না।

বাস্তব জগতে তোমাদের স্বাগত!  

 

Comments

The Daily Star  | English

Rising remittance provides a breather amid forex crisis

Remittance inflow has continued to rise for the past few months, providing a breather for a country facing multiple challenges, including external payment pressures amid dwindling foreign exchange reserves.

15h ago