নারায়ণগঞ্জে পুড়ে গেছে অর্ধশতাধিক বসতঘর-গোডাউন

নারায়ণগঞ্জের ইসদাইর এলাকার একটি বস্তিতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে প্রায় অর্ধশতাধিক বসতঘর ও গোডাউন আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। তবে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
আগুনে পুড়ে গেছে অর্ধশত বসতঘর ও গোডাউন। ছবি: স্টার

নারায়ণগঞ্জের ইসদাইর এলাকার একটি বস্তিতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে প্রায় অর্ধশতাধিক বসতঘর ও গোডাউন আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। তবে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

আজ রবিবার ভোররাত আড়াইটার দিকে ইসদাইর বাজারের পাশের বস্তিতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের সাতটি ইউনিট ঘটনাস্থলে যায়। তাদের প্রায় দেড় ঘণ্টার প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপপরিচালক আব্দুল্লাহ আল আরেফীন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, “আজ ভোররাত ২টা ৫৫ মিনিটে বস্তিতে আগুন লাগার খবর পাই। এর পাঁচ থেকে সাত মিনিটের মধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিটের কর্মীরা আগুন নেভাতে শুরু করেন। পরে ফায়ার সার্ভিসের আরও পাঁচটি ইউনিটের কর্মীরা যায়।”

“তাদের প্রায় দেড় ঘণ্টার প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে অগ্নিকাণ্ডে কেউ হতাহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি,” যোগ করেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, “তাৎক্ষণিকভাবে আগুনের সূত্রপাত কিংবা ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বলা যাচ্ছে না। ধারণা করা হচ্ছে, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট কিংবা মশার কয়েল থেকে আগুনের সূত্রপাত। তদন্তের পর এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানা যাবে।”

স্থানীয় বাসিন্দা শাহাদাৎ হোসেন রুপু দ্য ডেইলি স্টারকে বলেছেন, “সরকারি জায়গার ওপর নির্মিত বস্তিতে প্রায় অর্ধশতাধিক ঘর রয়েছে। কিছু ঘরে পোশাক কারখানার উচ্ছিষ্ট কাপড় (ঝুট) মজুদ করে রাখা হয়। আর কিছু ঘরে শ্রমিকেরা পরিবার নিয়ে বাস করেন। প্রথমে বস্তির দুটি ঘরে আগুন লাগে। মুহূর্তেই তা চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে।”

“পরে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেই। কীভাবে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে, সেটি বলতে পারছি না,” যোগ করেন তিনি।

অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ঝুট ব্যবসায়ী মোস্তাক আহমেদ বলেন, “এখানে ১৫-২০টি ঝুটের গোডাউন ছিল। যার মধ্যে একটি গোডাউনে আমার ৮০ হাজার থেকে এক লাখ টাকার ঝুট মজুদ ছিল। কিন্তু আগুনে গোডাউনে থাকা সব মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। আমি শেষ হয়ে গেছি।”

তিনি আরও বলেন, “আগুন কীভাবে লেগেছে, তা বলতে পারছি না। আগুনের খবর পেয়ে এখানে এসে দেখি সব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।”

Comments

The Daily Star  | English

Abu Sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

12h ago