করোনাভাইরাস: চাপে শি জিনপিং, মৃতের সংখ্যা ১৬৬৯

চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের শাসনামলে সবচেয়ে বড় সংকটের নাম করোনাভাইরাস। এখন পর্যন্ত এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বিশ্বব্যাপী মারা গেছেন ১ হাজার ৬৬৯ জন। ফলে বেশ চাপেই আছেন তিনি। আগে কখনো এত বড় সংকটের মুখে পড়েননি শি। এজন্য গত ৩ ফেব্রুয়ারি কমিউনিস্ট পার্টির সবচেয়ে শক্তিশালী পলিটব্যুরো স্থায়ী কমিটির সঙ্গে একান্ত বৈঠকে বসতে হয় তাকে। ওই বৈঠকে কমিটির কাছে করোনা সংকট নিয়ে নিজের বক্তব্য তুলে ধরেন শি।
সমালোচনার মুখে মাস্ক পরে জনসম্মুখে আসেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২০। ছবি: সংগৃহীত

চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের শাসনামলে সবচেয়ে বড় সংকটের নাম করোনাভাইরাস। এখন পর্যন্ত এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বিশ্বব্যাপী মারা গেছেন ১ হাজার ৬৬৯ জন। ফলে বেশ চাপেই আছেন তিনি। আগে কখনো এত বড় সংকটের মুখে পড়েননি শি। এজন্য গত ৩ ফেব্রুয়ারি কমিউনিস্ট পার্টির সবচেয়ে শক্তিশালী পলিটব্যুরো স্থায়ী কমিটির সঙ্গে একান্ত বৈঠকে বসতে হয় তাকে। ওই বৈঠকে কমিটির কাছে করোনা সংকট নিয়ে নিজের বক্তব্য তুলে ধরেন শি।

গতকাল শনিবার সেই বক্তব্য পার্টির দ্বিবার্ষিক জার্নাল কিউশিতে প্রকাশিত হয়। এছাড়া, রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনেও প্রচার করা হয়।

এক সপ্তাহ আগে ‘জাতীয় বীর’ খেতাব পাওয়া চিকিৎসক লি ওয়েনলিয়াংয়ের মৃত্যুতে চীনের জনগণের মাঝে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। ওই চিকিৎসক করোনাভাইরাস নিয়ে প্রথম তার বন্ধুদের সতর্ক করেছিলেন এবং তাকে গুজব ছড়ানোর অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে অবশ্য ওই চিকিৎসককে ছেড়ে দেওয়া হয়।

এ প্রসঙ্গে পলিটব্যুরো কাছে শি বলেন, স্থানীয় সরকারি কর্মকর্তারা কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশনা পালনে ব্যর্থ হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত কর্মকর্তাদের শাস্তির প্রতিশ্রুতিও দেন তিনি।

ওই বৈঠকে তিনি দাবি করেন, গত দুই সপ্তাহ আগেই এ ভাইরাসের প্রার্দুভাব মোকাবিলায় কমিউনিস্ট পার্টির শীর্ষ নেতাদের নির্দেশনা দিয়েছিলেন তিনি।

বৈঠকে তিনি বলেন, এই ভাইরাস কেবল চীনের মানুষের স্বাস্থ্যের ক্ষতি করবে না। এটা দেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক অবস্থাকেও বিপন্ন করে তুলবে। এমনকি চীনের উন্মুক্ত ব্যবসা নীতিতেও প্রভাব ফেলবে।

তিনি বলেন, “গত ৭ জানুয়ারি পলিটব্যুরো স্থায়ী কমিটির বৈঠকে ভাইরাস রোধে সব ধরনের উদ্যোগের নির্দেশ দিয়েছি। গত ২০ জানুয়ারিও ভাইরাস নিয়ন্ত্রণের বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছি। আমি সবাইকে বলেছি, এই মুহূর্তে আমাদের এটাতেই বেশি মনোযোগী হতে হবে।”

উল্লেখ্য, গত ২৪ ঘণ্টায় হুবেইয়ে ১৩৯ জন মারা গেছেন। নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন আরও ১,৮৪৩ জন। এছাড়া, চীনের মূল ভূ-খণ্ডে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৪২ জন মারা গেছেন এবং ২০০৯ জন আক্রান্ত হয়েছেন।

আজ রোববার চীনের স্বাস্থ্য কমিশনের বরাত দিয়ে সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদনে এসব তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে।

দেশটির স্বাস্থ্য কমিশন বলেছে, গতকাল শনিবার পর্যন্ত চীনে ১,৬৬৫ জন মারা গেছেন এবং ৬৮,৫০০ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়াও, চীনের বাইরে মারা গেছেন আরও ৪ জন। এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী মারা গেছেন ১,৬৬৯ জন। সিএনএনের প্রতিবেদনে এ তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English

One month of interim govt: Yunus navigating thru high hopes

A month ago, as Bangladesh teetered on the brink of chaos after the downfall of Sheikh Hasina, Nobel Laureate Muhammad Yunus returned home to steer the nation through political turbulences.

10h ago