ভারত-পাকিস্তানকে এক করেছে পঙ্গপাল!
ভারত-পাকিস্তান একে অন্যের মুখ দেখতে চায় না। নিজেদের মধ্যে ক্রিকেট খেলবে না। কাশ্মীর সীমান্তে গুলি বিনিময়, উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় তো নিয়মিত ঘটনা। সাম্প্রতিককালে প্রায় সব কিছুতে মতদ্বৈধতা থাকলেও, ভারত-পাকিস্তানকে একমতে পৌঁছতে সহায়তা করেছে পঙ্গপাল।
করোনাভাইরাসের আতঙ্কের মধ্যে এই দুই দেশের জন্য নতুন আতঙ্ক হিসেবে সামনে এসেছে পঙ্গপাল। চলতি বছর জুনে ভারত এবং পাকিস্তানের কিছু অঞ্চলে পঙ্গপাল আক্রমণ করতে পারে এমন খবরে নড়েচড়ে বসেছে দুই দেশ। একমত হয়েছে, খাদ্যশস্য খেকো পঙ্গপাল ঠেকাতে হবে যৌথভাবে।
পঙ্গপালের বিরুদ্ধে এক যোগে কাজ করছে দেশ দুটি। টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দুই দেশের জন্যই ক্ষতিকর পঙ্গপালের বিরুদ্ধে একযোগে কাজ করতে গতবছরের জুন থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে কমপক্ষে পাঁচবার আলোচনায় বসেছে তারা। আক্রমণ ঠেকাতে তাদের এই উদ্যোগ চলবে বলে জানিয়েছে সংবাদ মাধ্যমটি।
গত বছর ভারতের রাজস্থান এবং গুজরাটে পঙ্গপালের আক্রমণে ভীষণ ক্ষতিগ্রস্ত হয় কৃষক। একই অবস্থা ছিল পাকিস্তানেও। সম্প্রতি পঙ্গপালের আক্রমণ হওয়ায় পাকিস্তানে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়। সম্প্রতি ভারতেও পঙ্গপালের আক্রমণ হয়। তবে পূর্বপ্রস্তুতির কারণে সেখানে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তুলনামূলক কম হয়েছে।
ঘাসফড়িংয়ের সমগোত্রীয় প্রাণী পঙ্গপাল। দেখতে একই রকমের হলেও তাদের চলাফেরায় আছে ভিন্নতা। ঘাসফড়িং সাধারণত একাকী চলাফেরা করলেও পঙ্গপাল চলাফেরা করে বিরাট ঝাঁক বেঁধে। যে অঞ্চলে তারা আক্রমণ করে, সেখানে খাদ্য শেষ না হওয়া পর্যন্ত তারা অন্য অঞ্চলে যায় না। একটি পূর্ণ বয়স্ক পঙ্গপাল প্রতিদিন তার ওজনের সমপরিমাণ খাদ্য খেতে পারে। ১০ লাখের এক ঝাঁক পঙ্গপাল একদিনে প্রায় ৩৫ হাজার মানুষের খাবার সাবাড় করে দিতে পারে।
মরুভূমির এই প্রাণীটি আফ্রিকার দেশগুলোতে মহামারীর মতো আক্রমণ করে। গতবছরের শেষের দিকে ‘হর্ন অব আফ্রিকা’ বা পূর্ব আফ্রিকার দেশগুলোতে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হওয়ায় পঙ্গপালের ব্যাপক বংশ বিস্তার হয়।
Comments