জ্বালানি খাতে করোনাভাইরাসের প্রভাব
করোনাভাইরাস মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়ায় কেবল চীনের অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে না, বিশ্বব্যাপী এর মারাত্মক প্রভাব পড়ছে।
সাংহাইয়ের ‘ফর্মুলা ওয়ান রেস’ প্রতিযোগিতা স্থগিত হয়ে গেছে এবং এ বছর বার্সেলোনায় অনুষ্ঠিতব্য আন্তর্জাতিক মোবাইল ওয়ার্ল্ড প্রদর্শনী বাতিল করা হয়েছে। এছাড়াও, বিশ্বব্যাপী তেলের দাম জানুয়ারির লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২০ শতাংশ নিচে নেমে গেছে। এতে জ্বালানী তেল রপ্তানিকারক দেশগুলোর সংগঠন অর্গানাইজেশন অব পেট্রোলিয়াম এক্সপোর্টিং কান্ট্রিজের (ওপেক) তেলের উৎপাদন কমিয়ে দেওয়ার সম্ভাবনা বেড়েছে।
এ সমস্যায় শুধু ওপেকই পড়তে যাচ্ছে তা নয়, ইতিমধ্যে চীন বিশ্ববাজার থেকে রপ্তানিযোগ্য গ্যাস ট্যাংকার সরিয়ে নিয়েছে এবং গ্যাসের দাম প্রায় অর্ধেকে নামিয়ে দিয়েছে।
গ্যাস রপ্তানিকারক দেশগুলোর সংগঠনের মহাসচিব ইউরি সেনটিইউরিন বলেছেন, “এটিকে অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতি (ফোর্স ম্যাজিউর) বলে। ক্রেতা ও বিক্রেতার মধ্যে প্রতিটি চুক্তির ক্ষেত্রে কিছু বিশেষ ধারা আছে...যেগুলো ফোর্স ম্যাজিউর। এতে পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে চুক্তি সম্পাদিত হয় এবং যেখানে উভয়পক্ষের কোনো হাত থাকে না।”
সেনটিইউরিন আরও বলেন, “এটিকে সাময়িক সমস্যা বলে আমি মনে করি। কারণ মানুষের জীবন এবং জীবনধারণের জন্য উৎপাদন কখনোই থেমে থাকে না। আমার দৃষ্টিতে স্বাভাবিক জীবনধারার সঙ্গে সঙ্গে উৎপাদন ও ক্রয়ের হার একই গতিতে চলবে।”
থাইল্যান্ডের পর্যটন খাত হুমকিতে
চীন-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য যুদ্ধ, বিলম্বিত আর্থিক বাজেট এবং খরার কারণে গত বছর থাইল্যান্ডের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি সবচেয়ে নীচে নেমে গিয়েছিলো এবং পরবর্তীতে অর্থনীতির গতি ছিলো অনেক কম। তবুও শক্তিশালী পর্যটন খাত দিয়ে সে ঘাটতি কাটিয়ে ওঠার প্রত্যাশা করেছিলো দেশটির সরকার।
তবে বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস আতঙ্কের কারণে থাইল্যান্ডের পর্যটন খাত একপ্রকার মুখ থুবড়ে পড়েছে। এছাড়াও, দেশটির রপ্তানি হার ও বিনিয়োগে সাধারণ মানুষের আগ্রহ অনেক কমে গেছে। এতে মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়তে যাচ্ছে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির এই দেশ।
Comments