গাজীপুরে তালাবদ্ধ ঘরে ব্যবসায়ীর মরদেহ
গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলা থেকে আব্দুর রহমান (৪৫) নামে এক জমি ব্যবসায়ীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ ধারণা করছে, ৮ থেকে ১০ দিন আগে তাকে হত্যা করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার ভোররাতে শ্রীপুর পৌর এলাকার কেওয়া পশ্চিম খণ্ড এলাকার একটি ভবন থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
আব্দুর রহমানের বাড়ি শ্রীপুর উপজেলার গাজীপুর গ্রামে। তার বাবার নাম নছিম উদ্দিন। মজনু মিয়া বলেন, “গত ১৪ জানুয়ারি সামিরা আক্তার নামে এক নারী তার মালিকানাধীন তিনতলা ভবনের দ্বিতীয় তলার পূর্ব পাশের একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নেন। সে সময় ওই নারী জানান, তার সঙ্গে স্বামী এবং মা থাকবেন। তারপর থেকে সামিরার মা মালতি বেগম ও স্বামী আব্দুর রহমান বাস করতেন। গত ৮ ফেব্রুয়ারি সামিরা বাসায় তালা ঝুলিয়ে বের হয়ে যান। এরপরে আর কেউ ফিরে আসেননি। হঠাৎ বাসা থেকে পচা-দুর্গন্ধ বের হতে শুরু করলে আমার সন্দেহ হয়।”
“বিষয়টি শ্রীপুর থানায় জানানো হলে ঢাকার ক্রাইম সিন ইউনিট, গাজীপুর সিআইডি, শ্রীপুর থানা পুলিশ ও র্যাব সদস্যরা এসে তালা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করেন। আব্দুর রহমানের মরদেহ মেঝেতে পড়েছিল, তোষক দিয়ে মুড়িয়ে রশি দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছিল”— বলেন মজনু মিয়া।
ঢাকার ক্রাইম সিন ইউনিটের পরিদর্শক আমিনুর রহমান খান বলেন, “ধারণা করা হচ্ছে, ৮ থেকে ১০ দিন আগে আব্দুর রহমানকে হত্যা করা হয়েছে। মরদেহে পোকা ধরে গেছে। তার গলা অর্ধেকেরও বেশি কাটা।”
শ্রীপুর থানার উপপরিদর্শক আমিনুল ইসলাম বলেন, “ঘটনার পর থেকে আব্দুর রহমানের স্ত্রী ও শাশুড়ি পলাতক। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে।”
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লিয়াকত আলী দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, “নিহত ব্যক্তির প্রথম পক্ষের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম (২৫) বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। মামলাটি পুলিশ গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করছে। আশা করছি, শিগগিরই হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হবে।”
Comments