ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি ‘চ্যাম্পিয়ন্স কাপ’ আয়োজনের পরিকল্পনা আইসিসির

england champion
ছবি: রয়টার্স

ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি, দুই সংস্করণের ক্রিকেটেই ‘চ্যাম্পিয়ন্স কাপ’ নামে নতুন টুর্নামেন্ট আয়োজনের পরিকল্পনা করছে আইসিসি। ভবিষ্যৎ সূচির আগামী চক্রের (২০২৩-২০৩১ সাল) মধ্যে এই দুটি টুর্নামেন্টকে অন্তর্ভুক্ত করতে চায় বিশ্বের সর্বোচ্চ ক্রিকেট নিয়ন্ত্রক সংস্থা।

ক্রিকেট বিষয়ক ওয়েবসাইট ইএসপিএন ক্রিকইনফো মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) জানিয়েছে, ১০ দল নিয়ে টি-টোয়েন্টি ‘চ্যাম্পিয়ন্স কাপ’ এবং ৬ দল নিয়ে ওয়ানডে ‘চ্যাম্পিয়ন্স কাপ’ আয়োজন করতে চায় আইসিসি।

আইসিসির প্রস্তাব অনুসারে, আগামী ২০২৪ ও ২০২৮ সালে টি-টোয়েন্টি ‘চ্যাম্পিয়ন্স কাপ’ এবং ২০২৫ ও ২০২৯ সালে ওয়ানডে ‘চ্যাম্পিয়ন্স কাপ’ অনুষ্ঠিত হবে। পাশাপাশি ২০২৬ ও ২০৩০ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ এবং ২০২৭ ও ২০৩১ সালে ওয়ানডে বিশ্বকাপ আয়োজিত হবে।

টি-টোয়েন্টি ‘চ্যাম্পিয়ন্স কাপ’ আয়োজন করা হবে র‍্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ দল ১০ দলকে নিয়ে। টুর্নামেন্টে ম্যাচ হবে মোট ৪৮টি যা গেল বছরের ওয়ানডে বিশ্বকাপের ম্যাচের সমান। আর ওয়ানডে ‘চ্যাম্পিয়ন্স কাপ’কে এতদিন ধরে চলে আসা আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির মতো বিবেচনা করা যেতে পারে। এই টুর্নামেন্টে ম্যাচ হবে মোট ১৬টি।

কেবল ছেলেদের জন্য নয়, মেয়েদের জন্যও ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি ‘চ্যাম্পিয়ন্স কাপ’ চালুর পরিকল্পনা করছে আইসিসি।

আইসিসির পূর্ণ-সদস্য দেশগুলোকে ২০২৩-২০১৩ চক্রের টুর্নামেন্টগুলো আয়োজনে বিড করতে (দরপত্র জমা দিতে) আগ্রহ প্রকাশের জন্য আগামী ১৫ মার্চ পর্যন্ত সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে।

আইসিসির চাওয়া দরপত্রের শর্ত অনুসারে, প্রতিটি টুর্নামেন্টের আয়োজক দেশ টিকিট, হসপিটালিটি ও ক্যাটারিং থেকে রাজস্ব আয় করতে পারবে। আর সব ধরনের বাণিজ্যিক ও সম্প্রচারস্বত্ব থেকে আয়কৃত রাজস্ব পাবে আইসিসি।

তবে এই প্রস্তাব নিয়ে আইসিসির সঙ্গে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই), ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ) এবং ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ডের (ইসিবি) বিরোধ তৈরি হতে পারে। কারণ ক্রিকেটের সবচেয়ে ধনী এই বোর্ড তিনটি নিজেদের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সিরিজ খেলার জন্য ফাঁকা সূচি রাখার দাবি আগে থেকেই জানিয়ে আসছে। যদি আইসিসির পরিকল্পনা শেষ পর্যন্ত বাস্তবায়িত হয়, তবে তিনটি দেশের দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলার সুযোগ উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যাবে এবং তাদেরকে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হতে পারে।

Comments

The Daily Star  | English

CSA getting scrapped

The interim government yesterday decided in principle to repeal the Cyber Security Act which has been used to curb press freedom and suppress political dissent.

3h ago