সাউলের গোলে লিভারপুলকে হারিয়েছে অ্যাতলেতিকো
ম্যাচের চতুর্থ মিনিটেই পিছিয়ে পড়ে লিভারপুল। শেষ পর্যন্ত সে গোলই পার্থক্য গড়ে দেয় ম্যাচের। দারুণ জমাট রক্ষণ আগলে রেখে রেখে লিভারপুলকে হতাশা উপহারদের দিল অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদ। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে শেষ ষোলোর প্রথম লেগের ম্যাচে নিজেদের মাঠে ইংলিশ ক্লাব লিভারপুলকে ১-০ গোলে হারিয়েছে দিয়াগো সিমিওনির শিষ্যরা।
অথচ এদিন ম্যাচের ৭৩ শতাংশ বল পায়ে রেখেছিল লিভারপুল। দারুণ কিছু আক্রমণও করেছিল তারা। মোহাম্মদ সালাহ তো দুইবার গোলরক্ষককে প্রায় একাই পেয়ে যান। কিন্তু ফরোয়ার্ডদের ব্যর্থতায় সমতায় ফিরতে পারেনি দলটি। এমনকি একটি শটও লক্ষ্যে রাখতে পারেনি চ্যাম্পিয়নরা। সাউল নিগুয়েজের দেওয়া গোলে হার নিয়েই প্রথম লেগ শেষ করে অলরেডরা।
তবে নিজেদের মাঠে দ্বিতীয় লেগে ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ থাকছে লিভারপুলের। কারণ অ্যানফিল্ড বরাবরই অন্যরকম দুর্গ তাদের। তার সঙ্গে রয়েছে গত মৌসুমের দারুণ স্মৃতি। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পথে সেমি-ফাইনালে বার্সেলোনার মাঠ থেকে ০-৩ গোলের ব্যবধানে হেরে ফিরতি লেগে ৪-০ গোলের ব্যবধানে জিতেই ফাইনালের টিকেট কাটে দলটি।
ওয়ান্দা মেত্রোপলিতানোতে মঙ্গলবার রাতে শুরুতেই এগিয়ে যায় অ্যাটলেটিকো। চতুর্থ মিনিটে কর্নার থেকে ডি-বক্সের মধ্যে জটলা সৃষ্টি হয়। লিভারপুলের ডিফেন্ডাররা ঠিকভাবে পরিষ্কার করতে না পারলে ফ্যাবিনহোর পায়ে লেগে গোলমুখে একেবারে ফাঁকা বারে বল পেয়ে যান সাউল নিগুয়েজ। আলতো টোকায় বল জালে জড়াতে কোন ভুল করেননি এ স্প্যানিশ মিডফিল্ডার।
১৯তম মিনিটে ফার্নাদো লোদির ক্রস অসাধারণ দক্ষতায় রবার্টসন কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা না করলে ব্যবধান আরও বাড়তে পারতো। ২৬তম মিনিটে লিভারপুলকে বড় বাঁচা বাঁচিয়ে দেন গোলরক্ষক অ্যালিসন বেকার। এক সতীর্থের বাড়ানো বলে একেবারে ফাঁকায় বল পেয়েছিলেন আলভেরো মোরাতা। তবে তার শট দারুণ দক্ষতায় ফিরিয়ে দেন অ্যালিসন। পাল্টা আক্রমণ থেকে গোল পেয়েছিলেন সালাহ। তবে ফিরমিনো অবসাইডে থাকায় বাতিল হয় সে গোল।
২৮তম মিনিটে থমাসের দূরপাল্লার শট লক্ষ্যে থাকেনি। পাল্টা আক্রমণে রবার্টসনের উচ্চবিলাসী শটও লক্ষ্যে থাকেনি। ৩৫তম মিনিটে দিনের সেরা সুযোগটি মিস করেন সালাহ। সাদিও মানের কাছ থেকে বল পেয়ে ছোট ডি-বক্সের মধ্য থেকে সালাহকে কাটব্যাক করেছিলেন ফিরমিনো। একবারে ফাঁকায় বল পেয়েও লক্ষ্যভেদ করতে পারেননি সালাহ। এক খেলোয়াড় বরাবর বল মারলে তার গায়ে লেগে বেরিয়ে যায়। ফলে নষ্ট সমতায় ফেরার সুবর্ণ সুযোগ।
৫৩তম মিনিটে অবিশ্বাস্য এক মিস করেন সালাহ। এর বাড়ানো বলে ডি-বক্সে গোলরক্ষককে একা পেয়ে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তার হেড লক্ষ্যেই থাকেনি। ৭৩তম মিনিটে আরও একটি দারুণ সুযোগ মিস হয় লিভারপুলের। দিভোক ওরিগির কাটব্যাক থেকে দারুণ এক সাইডভলি নিয়েছিলেন হেন্ডারসন। কিন্তু অল্পের জন্য তা লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। এরপর দুই দল আরও কিছু সুযোগ পেলেও তা থেকে গোল না হওয়ায় জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে স্বাগতিকরা।
Comments