কে নিচ্ছে এ সকল সিদ্ধান্ত? জানেন না পাপন
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে একমাত্র টেস্ট ম্যাচের আগে দুই দিনের প্রস্তুতি ম্যাচ চলছে, সেখানে নেই জাতীয় দলের কেউ। এক আল-আমিন জুনিয়র ছাড়া দলের সবার বয়স বিশের নিচে। জাতীয় দলের তরুণ ব্যাটসম্যান দুই-একজন সুযোগ পেতেই পারতেন। সম্পূর্ণ পাইপলাইনের খেলোয়াড়দের নিয়ে মাঠে নামার সিদ্ধান্তটা কে নিয়েছেন তা জানেন না খোদ বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনও। আর সেটা জানতেই বুধবার হুট করেই জরুরী সভা ডেকে আলোচনা করেছেন বিসিবি সভাপতি।
মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের বিসিবি কার্যালয়ে পাপন এদিন বললেন, 'এই যে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচ হচ্ছে, এসব ম্যাচে আগে আমরা ব্যাটসম্যানদের (মূল দলের) দিতাম, তারা খেলত। বোলারদের দিতাম না। এখানে এখনকার দল যদি দেখেন নতুন কিছু ছেলে আছে, সাইফ আছে, শান্ত আছে। আমরা এদেরকে দিতে পারতাম। যেহেতু তাদেরকে সামনেই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে খেলতে হবে। তাহলে নতুন ছেলেগুলো ওদের বোলিং একটু হলেও অভ্যস্ত হত, সাহস পেত। কিন্তু আমরা দেখলাম কেউ নাই। এটা একটু ভিন্ন। এই যে জিনিসগুলো সব অন্যরকম হচ্ছে। করতে পারে তারা, আমাদের জানা দরকার।'
অবশ্য বিষয়টা নতুন কিছু নয়, বেশ কিছু দিন থেকেই বিসিবি সভাপতি বলে আসছেন, বাংলাদেশ ক্রিকেটের বর্তমান সিদ্ধান্তগুলো কে বা কারা নিচ্ছেন তা তিনি কিছুই জানেন না। এমনকি সাম্প্রতিক সময়ে নিজেও ক্রিকেটে আর নজরদারি করেন না। তবে বিশ্বকাপ জিতে দেশের ফেরার পর অনূর্ধ্ব-১৯ দলকে নিয়ে করা সংবাদ সম্মেলনে ঘোষণা দিয়েছিলেন এখন থেকে টাইগারদের সব সিদ্ধান্তে নিজেকে জড়িত রাখবেন। কিন্তু এরপর প্রথম জিম্বাবুয়ে সফরেই মাঝেই জানালেন এখনও কিছুই জানেন না তিনি।
তবে টেস্ট ম্যাচ শুরুর আগেই নিজেকে জড়িত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন পাপন। তাই এদিন কোচ, নির্বাচক, খেলোয়াড়সহ বিসিবি কর্তাদের সঙ্গে জরুরী সভা করেন। এরপর জানালেন, 'এই চমকটা আমিও পাচ্ছি, খেলোয়াড়রাও পাচ্ছে। তাহলে সিদ্ধান্তগুলো নিচ্ছে কে। ডেকে বলে দেওয়া হয়েছে কে কি সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। সাধারণ ভাবে আগের ফরমুলাতেই চলবে। ১৬ জনের স্কোয়াড নির্বাচকরা দিতে পারবেন। তারপর ১৬ হোক ১৩ হোক এখানকে থেকে সেরা একাদশ অধিনায়ক ও কোচ নিতে পারবেন। কিন্তু যে জিনিসগুলো হচ্ছে, আমি আগের দিন জানতে চাই গেম প্লান কি?'
Comments