বোর্ড প্রধানকে না জানিয়ে ব্যাটিং অর্ডারে আর উলটপালট নয়
সাধারণত খেলার দিন একাদশ ঠিক করবেন অধিনায়ক আর কোচ, টসের সিদ্ধান্ত থেকে ব্যাটিং অর্ডারও তাদের নিয়ন্ত্রণেই থাকে। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান নাজমুল হাসানের এই রীতিতে আপত্তি নেই। তবে টিম ম্যানেজমেন্টের এসব পরিকল্পনা আগে থেকেই জেনে রাখতে চান বোর্ড প্রধান। এবং এখন থেকে তাকে যেটা জানানো হবে, ম্যাচে তা আর ব্যত্যয় করা যাবে না।
গত বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে শেষ ম্যাচ থেকেই দলের কৌশলগত নানা সিদ্ধান্ত নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে আসছেন বিসিবি সভাপতি। পাকিস্তানের বিপক্ষে ওই ম্যাচের আগের দিন বোর্ড প্রধান জানতেন, চোটের কারণে মাশরাফি মর্তুজা ও মুশফিকুর রহিম খেলছেন না। কিন্তু পরদিন এই দুজনকেই খেলতে দেখে বিস্মিত হন তিনি।
সর্বশেষ ভারত সফরে কলকাতায় গোলাপি বলের টেস্টে টসের সিদ্ধান্ত নিয়েও আগে সমালোচনা করেছিলেন তিনি। ম্যাচের আগের দিন নাজমুল জানতেন টস জিতলে বাংলাদেশ নেবে ফিল্ডিং। কিন্তু ব্যাটিং নিয়ে বিপর্যয়ে পড়ার পর প্রকাশ্যেই অসন্তোষ আর বিস্ময় জানিয়েছিলেন তিনি।
এসব বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বুধবার মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টিম ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন নাজমুল।
সভার পর গণমাধ্যমে জানিয়েছেন, এবার কঠোর হচ্ছেন তিনি। এখন থেকে আগে থেকে নেওয়া পরিকল্পনা তার অজান্তে হুট করে আর পরিবর্তন করা যাবে না, ‘বিশ্বকাপের শেষ ম্যাচ থেকেই এমন হচ্ছে, তারপর আফগানিস্তান সিরিজ। পুরো বদল। আমি যা জানতাম তার কিছুই হয়নি। আমরা দেখেছি যারা জীবনে উপরে খেলেনি, তাদের উপরে খেলানো হয়েছে। এটা মেসিব চেঞ্জ। এই সিদ্ধান্তগুলো হঠাৎ করে খেলার মধ্যে নেওয়া হয়েছে । ’
‘পাকিস্তানে টি-টোয়েন্টিও আমি দেখতে গেলাম, ওখানেও আমি দেখলাম। ব্যাটিং অর্ডার চেঞ্জ, কে কোথায় আসছে না আসছে। এই জিনিসগুলো আমি যেটা জানতাম তা হয়নি। মানে আমাকে যেটা বলা হয়েছে তার সঙ্গে কোন মিল নেই।’
বাংলাদেশের ক্রিকেটের সর্বোচ্চ কর্তা এবার খেলার সময়ের এসব কৌশলের ব্যাপারে টিম ম্যানেজমেন্টকে দিয়েছেন স্পষ্ট নির্দেশ, ‘এই ধরণের জিনিস নিয়েই বলেছি। আমি ঠিক করছি না সেরা একাদশ কি হবে। আমি ঠিক করছি না যে আমরা ব্যাটিং নেব না বোলিং নেব। এই সিদ্ধান্তগুলো অধিনায়ক, কোচ মিলেই করুক সেটাতে আমার আপত্তি নেই। আমাকে যদি বলা হয় এই হলো ব্যাটিং সিকুয়েন্স, গিয়ে দেখি যদি উলটো। সেটা যেন আর না হয়। সেটা হতে পারবে না। ’
Comments