খেলার নিশ্চয়তা পেয়ে ‘নির্ভার’ আবু জায়েদ
টানা টেস্ট খেলানোর মতো পেসার খুঁজছিল বাংলাদেশ। একে, তাকে দিয়ে করা হচ্ছিল চেষ্টা। কেউই ঠিক থিতু হতে পারছিলেন না। কিংবা থিতু হতেও সময় দেওয়া হচ্ছিল না কাউকে। প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গো আবু জায়েদ রাহির মধ্যে দেখেছেন আদর্শ টেস্ট বোলারের ছায়া। এই পেসারকে তাই সাদা পোশাকে লম্বা সময় খেলার নিশ্চয়তা দিয়েছেন কোচ। এমন নিশ্চয়তা মেলায় নির্ভার জায়েদ মুখিয়ে আছেন দলে অবদান রাখার দিকে।
বাংলাদেশের সর্বশেষ খেলা ছয় টেস্টের মধ্যে কেবল ঘরের মাঠে আফগানিস্তানের বিপক্ষেই একাদশে ছিলেন না জায়েদ। সেই টেস্টে অবশ্য পেসারছাড়াই খেলতে নেমেছিলেন বাংলাদেশ। তার আগে নিউজিল্যান্ডে দুই টেস্ট, পরে ভারতে দুই টেস্টের পর খেলে এসেছেন রাওয়ালপিন্ডি টেস্টেও।
ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেও দলের মূল পেসার তিনিই। এই টেস্টে নামার আগে জানালেন, দলে থাকা, না থাকা নিয়ে দোলাচল কেটে গেছে। বুধবার মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুশীলন শেষে জানালেন, নিশ্চয়তা মেলায় খেলাটা হবে সহজ, ‘থাকবো কি থাকবো না, এ রকম চিন্তা ঢুকলে পারফর্ম করা কঠিন। এক ফরম্যাটেই খেলবো, এটা জানা থাকলে ভালো খেলা সহজ হয়ে যায়।'
ভারতে দলের হয়ে জুতসই বল করেছেন। পাকিস্তানের বিপক্ষে রাওয়ালপিন্ডি টেস্টেও ছিলেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায়। দারুণ এক স্পেলসহ ৮৬ রানে নেন ৩ উইকেট। কিন্তু দেশে ঠিক ওইরকম পেস বান্ধব উইকেট পাওয়া মুশকিল। এখানে খেলার অনুপ্রেরণা খুঁজবেন দলের পরিস্থিতি বুঝে, ‘দলের জন্য কী করতে হবে, সেটা জানাটাই আসল। দুই পেসার খেলবে নাকি এক পেসার, তা এখনো জানি না। বিসিএল বা জাতীয় লিগে স্পিনাররা বেশি রান দিলে পেসারদের কাজ হয় রান কম দেওয়া। এতে স্পিনাররা পরে এসে উইকেট নিতে পারে। দলের জন্য যেটা কাজে লাগবে, সেটা করাই আসল অনুপ্রেরণা।’
Comments