‘ক্ষেত চেনো? ক্ষেতে দৌড়াও’, জায়েদকে শামির পরামর্শ
ভারত গিয়ে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজে নাস্তানাবুদ হয়ে ফিরেছিল বাংলাদেশ। ব্যাটসম্যানদের নিদারুণ ব্যর্থতায় কেবল এক ইনিংস বল করার সুযোগ পেয়েছিলেন বাংলাদেশের বোলাররা। পেসার আবু জায়েদ রাহি অনেক খারাপের মধ্যেও দেখিয়েছিলেন কিছুটা ঝলক। বিপক্ষ দলের মোহাম্মদ শামি ওই সিরিজেই বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের জন্য মূর্তিমান আতঙ্ক। সিরিজের মধ্যেই শামির কাছ থেকে ফিটনেস বাড়ানোর জন্য, ধানক্ষেতে দৌড়ানোর টিপস পান জায়েদ।
বর্তমানে বাংলাদেশের টেস্ট দলে প্রথম পছন্দের পেসার জায়েদ। গত ছয় টেস্টের মধ্যে পাঁচ টেস্টেই একাদশে ছিলেন তিনি। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেও দলের পেস আক্রমণের ভার তার উপর। বুধবার অনুশীলন সেরে মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে কথা বলছিলেন তার টেস্টের পারফরম্যান্স, আগামীর ভাবনা পরিকল্পনা নিয়ে।
সেখানেই প্রসঙ্গ ক্রমে এল শামির টিপসের কথা। আবু জায়েদ জানালেন তেমন কিছু না শামি দিয়েছিলেন কেবল ফিটনেসের টিপস, ‘শামির সঙ্গে কথা হয়েছিলো। উনি বলেছেন, ক্ষেত চেনো? ক্ষেতে দৌড়াও। এতে শরীর ফিট হবে এবং জোরে বল করতে পারবে। এইটুকুই টিপস দিয়েছে।’
যেখান থেকে নিয়মিত টিপস পাওয়ার কথা, সে জায়গাতেও গত কয়েকমাসে ব্যাঘাত হয়েছে জায়েদদের। গত আট মাসের মধ্যে একাধিকবার পেস বোলিং কোচ বদল হয়েছে বাংলাদেশের। বিশ্বকাপের পর কোর্টনি ওয়ালশের সঙ্গে চুক্তি শেষ করে বিসিবি। এরপর শার্ল ল্যাঙ্গাফেল্ট আসেন কোচ হয়ে। তিনি নিজ দেশে চাকরি পেয়ে চলে যাওয়ার পর ওটিস গিবস এসেছেন এই পদে। এই কোচের সঙ্গে কেবল দুদিন কাজ করেছেন পেসাররা। জায়েদ জানালেন বারবার কোচ বদল কিছুটা বিপাকের হলেও মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টায় তারা, ‘কোচের কাছ থেকে ভালো জিনিসটা মনে রাখার চেষ্টা করি এবং সেভাবেই কাজ করি। কোচ চলে যাওয়া বা আসা আমাদের হাতে নাই। ওয়ালশ আমাকে যে জিনিসটা বলে গেছেন কিংবা চম্পাকা (রামানায়েকে) যেটা বলে গেছেন, তাদের কাছ থেকে শেখা, ভালো জিনিসটা মনে রাখার চেষ্টা করি। এটার কোনো বিকল্প নাই।’
পাকিস্তান সফর থেকেই নতুন বোলিং কোচ হিসেবে যোগ দিয়েছেন গিবসন। তবে জায়েদ জানালেন পেসারদের নিয়ে মাত্রই কাজ শুরু করেছেন তিনি, 'মাত্র দুই দিন হলো। কারণ টেস্টের সময় কাজ করতে পারেনি (পাকিস্তানে)। গতকাল বলেছে লাইট বোলিং করতে। রানআপ নিয়ে কাজ করতে বলেছে। এক জায়গায় বোলিং করতে বলেছে। '
Comments