এসব পরিস্থিতি সামলে এসেছি, বোর্ড প্রধানের হস্তক্ষেপ প্রসঙ্গে ডমিঙ্গো

গেল বুধবার টিম ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে সভা শেষে বেরিয়ে বোর্ড প্রধান বলেছিলেন, পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের মতো ওলটপালট ব্যাটিং অর্ডার আর দেখতে চান না তিনি এবং বিভিন্ন সময়ে টস জেতার পরবর্তী সিদ্ধান্ত নিয়েও জানিয়েছিলেন অসন্তোষ।
domingo and mominul
ছবি: ফিরোজ আহমেদ

টস, একাদশ আর ব্যাটিং অর্ডার। খেলার সময় কৌশলগত এসব বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয় টিম ম্যানেজমেন্ট। যেখানে যুক্ত থাকেন কোচ, অধিনায়ক আর ম্যানেজার। তবে গণমাধ্যমের কাছে বোর্ড প্রধান নাজমুল হাসান জানিয়েছিলেন, দলের এসব পরিকল্পনা জানা থাকতে হবে তারও। এমনকি তাকে আগে থেকে যেটা জানানো হবে, সেটা ম্যাচের মধ্যেও আর বদল করা যাবে না! কিন্তু বাংলাদেশের কোচ রাসেল ডমিঙ্গো আর অধিনায়ক মুমিনুল হক বললেন, এমন কোনো নির্দেশনার ব্যাপারে অবগত নন তারা। কোচ আরও জানালেন, বাংলাদেশের দায়িত্ব নেওয়ার আগেও তাকে এমন পরিস্থিতি সামলাতে হয়েছে।

গেল বুধবার টিম ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে সভা শেষে বেরিয়ে বোর্ড প্রধান বলেছিলেন, পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের মতো ওলটপালট ব্যাটিং অর্ডার আর দেখতে চান না তিনি এবং বিভিন্ন সময়ে টস জেতার পরবর্তী সিদ্ধান্ত নিয়েও জানিয়েছিলেন অসন্তোষ, ‘আমি ঠিক করছি না সেরা একাদশ কেমন হবে। আমি ঠিক করছি না যে আমরা ব্যাটিং নেব না বোলিং নেব। এই সিদ্ধান্তগুলো অধিনায়ক, কোচ মিলেই করুক। সেটাতে আমার আপত্তি নেই। আমাকে যদি বলা হয়, এই হলো ব্যাটিং অর্ডার, কিন্তু গিয়ে দেখি যদি উল্টো, সেটা যেন আর না হয়। সেটা হতে পারবে না।’

শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টের আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনের শুরুতেই বাংলাদেশের কোচের কাছে গেল এই বিষয়ে প্রশ্ন। কোচ কি একাদশের কথা, দলের পরিকল্পনা এরই মধ্যে বোর্ড প্রধানকে জানিয়েছেন?

আরও পড়ুনবোর্ড প্রধানকে না জানিয়ে ব্যাটিং অর্ডারে আর উলটপালট নয়

কিছুটা অস্বস্তিকর এই প্রশ্ন প্রথমে এড়াতে চাইলেন কোচ। এরপর যে উত্তর দিলেন, তাতে মনে হলো, এমন কোনো অস্বাভাবিক কড়া বার্তা যায়নি তাদের কাছে, ‘বোর্ড প্রধানের সঙ্গে দল নিয়ে আমার বোঝাপড়া দারুণ। উনি সত্যিই চান, দল ভালো খেলুক। গত সপ্তাহে আমাদের দারুণ একটা অনুশীলন সেশন কাটল।’

‘দল নিয়ে কাউকে কিছু জানানোর জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে আমাকে কিছু বলা হয়নি। এখন পর্যন্ত এমন কিছু করা দরকার (বোর্ড প্রধানকে জানানো), এমন পরিবেশ তৈরি হয়নি। বোর্ড সভাপতির মতো আমিও দল নিয়ে খুব প্যাশনেট (উৎসাহী)। আমি বেতন পাচ্ছি সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য এবং এটাই আমার কাজ।’

দক্ষিণ আফ্রিকার নাগরিক ডমিঙ্গো যোগ করলেন, কঠিন পরিস্থিতি সামলে দায়িত্ব ঠিকঠাকভাবে পালন করে যাওয়ার অভিজ্ঞতা তার রয়েছে, ‘মনে রাখবেন, আমিও দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে এসেছি। ওখানেও অনেক সমস্যা-সংকট। আমি ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া থেকে আসিনি, যেখানে কাজটা সহজ। দক্ষিণ আফ্রিকাতেও কঠিন এসব বিষয়। দল নির্বাচন সহজ ব্যাপার না। ওখানেও অনেক মত আর এজেন্ডা কাজ করে। এটা আমার কাজের অংশ। এসবের মধ্য দিয়েই আমাকে কাজ চালিয়ে নিতে হয়। গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হলো, অধিনায়ক আর খেলোয়াড়দের এসব থেকে দূরে রাখা। ছেলেদের আড়াল করে রাখতে হবে আমাকে। দক্ষিণ আফ্রিকাতেও অনেক সমস্যা। সেসব সামলে এসেছি। কাজেই আমি এসবের সঙ্গে পরিচিত।’

একই প্রশ্ন গিয়েছিল বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়ক মুমিনুলের কাছেও। তিনি অবশ্য এই প্রশ্ন বলের লাইনে গিয়ে সুন্দরভাবে ছেড়ে দিয়েছেন, ‘আমি তো এই মন্তব্য তার কাছ থেকে শুনি নাই। আমার পক্ষে এই বিষয়ে মন্তব্য করা কঠিন।’

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

7h ago