বাংলাদেশকে এখন আর বিদেশ মনে হয় না জিম্বাবুইয়ানদের
টেস্ট পরিবারের সদস্য হওয়ার পর বাংলাদেশে প্রথম দল হিসেবে পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলতে আসে জিম্বাবুয়ে। গেল ২০ বছরে অনেকবার সফরে এসেছে দলটি। সাম্প্রতিক সময়ে তো আরও বেশি। দেশটির প্রায় প্রত্যেক খেলোয়াড়ই বাংলাদেশকে ‘দ্বিতীয় বাড়ি’ মনে করেন। অকপটে তা স্বীকারও করেন তারা। অধিনায়ক ক্রেইগ আরভিন তো আরেক কাঠি সরেস। জানালেন, বাংলাদেশকে এখন আর বিদেশই মনে হয় তাদের!
জিম্বাবুয়ের খেলোয়াড়রা যখন বাংলাদেশকে আপন করে নেওয়ার কথা বলছেন, তখন সময়টা ভালো যাচ্ছে না বাংলাদেশের। শেষ ছয়টি টেস্টেই হেরেছে তারা। দেশের মাটি কিংবা দেশের বাইরে। হারের চেয়েও হারের ধরন প্রশ্নবিদ্ধ। রীতিমতো নাস্তানাবুদই হচ্ছে টাইগাররা। তার ওপর যদি সফরকারীরা বাংলাদেশের কন্ডিশনে কোনো বৈরি কিছু উপলব্ধি না করে, তাহলে ভোগান্তি আরও বাড়তে পারে মুমিনুল হকদের।
বাংলাদেশের সাম্প্রতিক দুরবস্থায় জিম্বাবুয়ে এগিয়ে থাকবে কি-না, এমন প্রশ্নের উত্তরে অধিনায়ক আরভিন বললেন, ‘হ্যাঁ, অবশ্যই। সাম্প্রতিক সময়ে টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের সময়টা বাজে যাচ্ছে। তবে ঘরের মাঠের কন্ডিশনে অবশ্যই তারা শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী। আর এই কন্ডিশনে আমরাও কিছুটা পরিচিত। আমরা প্রায়ই এখানে সফরে এসেছি। তাই আমাদের জন্য একেবারে বিদেশি কিছু বলে মনে হয় না। তাই অবশ্যই ভালো একটি প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে।’
আরভিনের কথার যুক্তিও রয়েছে। কিছু দিন আগে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেও দারুণ ক্রিকেট উপহার দিয়েছে তারা। দুই টেস্টেই হয় কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বিতা। প্রথমটা প্রায় ড্র করে ফেলেছিল জিম্বাবুয়ে। আর দ্বিতীয় ম্যাচে তো জিততে জিততে ড্র করে। সিরিজ হারলেও আত্মবিশ্বাসে টগবগ করে ফুটছে দলটি।
তাছাড়া নিজেদের মাঠে বাংলাদেশই চাপে থাকবে বলে মনে করেন জিম্বাবুইয়ান অধিনায়ক, ‘ঘরের মাঠে আপনি সবসময়ই চাপ অনুভব করবেন। আর সাম্প্রতিক ফর্মের কারণে তারা আরও বেশি চাপে থাকবে। তবে আমাদের নিজেদের শক্তি ও প্রক্রিয়ার দিকে নজর দিতে হবে। বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাস নিয়ে চিন্তা করা উচিৎ হবে না।’
নিজেদের সাম্প্রতিক নজরকাড়া পারফরম্যান্সের ধারা বজায় রেখে বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্ট ম্যাচ জয়ের ব্যাপারে দারুণ আত্মবিশ্বাসী আরভিন, ‘শ্রীলঙ্কায় আমাদের টেস্ট সিরিজটা দারুণ গেছে। আমরা দুটি ম্যাচ খেলেছি, দুটি ম্যাচই পাঁচ দিনে গড়িয়েছে। সে সিরিজ থেকে আমরা মোমেন্টাম পেয়েছি। বাংলাদেশের বিপক্ষে তার ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে হবে।’
Comments