ট্রাম্পের ভারত সফরে যেসব চুক্তির সম্ভাবনা
আগামী ২৪-২৫ ফেব্রুয়ারি ভারত সফরে আসছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সঙ্গে থাকছেন স্ত্রী মেলানিয়া ট্রাম্প, মেয়ে ইভাঙ্কা ট্রাম্প ও জামাতা জারেড কুশনারসহ ১২ সদস্যের প্রতিনিধি দল। প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্পের প্রথম ভারত সফরের দিকে তাকিয়ে সবাই।
ভারতে এসেই নয়াদিল্লির হায়দরাবাদ হাউসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক করবেন ট্রাম্প। আহমেদাবাদে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ‘সর্দার প্যাটেল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে’ স্বাগত জানানো হবে তাকে। যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসের হিউস্টনে মোদির সৌজন্যে অনুষ্ঠিত ‘হাউডি মোদি’ অনুষ্ঠানের মতোই সর্দার প্যাটেল স্টেডিয়ামে আয়োজিত ‘নমস্তে ট্রাম্প’ অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন ও গান্ধী আশ্রমে যাবেন। পরে স্ত্রী, মেয়ে ও জামাতাকে নিয়ে যাবেন আগ্রার তাজমহল পরিদর্শনে।
হোয়াইট হাউজের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ট্রাম্পের ভারত সফরে প্রতিরক্ষা ও বাণিজ্যচুক্তির ওপরই জোর দিতে চাইছে যুক্তরাষ্ট্র।
মার্কিন প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বলেছেন, “আমরা আমাদের অর্থনৈতিক ও জ্বালানি খাতে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক গড়ে তোলার দিকে মনোনিবেশ করবো।”
“যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ২০১৮ সালে বেড়ে ১৪২ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে”, যোগ করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, “ভারত আমাদের ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশলের প্রধান স্তম্ভ এবং বাজার অর্থনীতি, সুশাসন এবং সার্বভৌমত্বের প্রতি পারস্পরিক শ্রদ্ধা রেখে একটি অবাধ ও উন্মুক্ত আন্তর্জাতিক ব্যবস্থার জন্য আমরা একসঙ্গে কাজ করছি।”
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে আরও জানানো হয়েছে, ভারতের নৌবাহিনীর জন্য ২৪টি অত্যাধুনিক এমএইচ-৬০আর সি- হক হেলিকপ্টার ক্রয় ও ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তি বিনিময় নিয়েও চুক্তি হতে পারে। ১৭৮টি মার্কিন পণ্যে কর কমানোর প্রসঙ্গে মোদির সঙ্গে আলোচনা করতে পারেন ট্রাম্প।
ট্রাম্প ভারতের নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ) ও জাতীয় নাগরিক নিবন্ধন (এনআরসি) নিয়ে মোদির সঙ্গে কথা বলবেন কি না? এ প্রসঙ্গে হোয়াইট হাউজের অপর এক কর্মকর্তা সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, “প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প গণতন্ত্র ও ধর্মীয় স্বাধীনতা প্রসঙ্গে ভারতীয় ঐতিহ্যের প্রসঙ্গ তুলে নিজের একান্ত মতামত প্রকাশ করতে পারেন।”
Comments