নাঈমের ছোবল সামলে জিম্বাবুয়েকে টানছেন আরভিন

প্রথম সেশনে মাত্র ১ উইকেট নিয়ে কিছুটা ব্যাকফুটে ছিল বাংলাদেশ। দ্বিতীয় সেশনে পর পর দুই উইকেট নিয়ে দলকে খেলায় ফেরান অফ স্পিনার নাঈম হাসান। যদিও মৃদু ধস সামলে জিম্বাবুয়েকে টানছেন তাদের অধিনায়ক ক্রেইগ আরভিন।
শনিবার মিরপুর টেস্টের প্রথম দিনে ৩ উইকেটে ১৫০ রান তুলে চা-বিরতিতে গেছে সফরকারীরা। আরভিন অপরাজিত আছেন ৬০ রানে, সঙ্গী সিকান্দার রাজা খেলছেন ৭ রান নিয়ে।
লাঞ্চের পর নেমেও দৃঢ়তা দেখাচ্ছিলেন প্রিন্স মাসবাউরে আর ক্রেইগ আরভিন। উইকেট নিতে মরিয়া বাংলাদেশও চেষ্টা চালায় নানাভাবে। তার ফলও মিলেছিল। অফ স্পিনার নাঈম হাসান বারবার ভোগাতে থাকেন মাসবাউরেকে।
৫৮ আর ৫৯ রানে দুবার জীবন পান প্রিন্স মাসবাউরে। দুবারই বোলারের নাম নাঈম হাসান। প্রথমবার নিজের বলেই রাখতে পারেননি কঠিন ক্যাচ। খানিক পর তার অফ স্পিনে পরাস্ত হয়ে বাঁহাতি মাসবাউরে ক্যাচ দিয়েছিলেন স্লিপে। কিন্তু নাজমুল হোসেন শান্ত জমাতে পারেননি সে ক্যাচ।
ধৈর্যশীল ইনিংসে পাওয়া দুই জীবন অবশ্য কাজে লাগেনি তার। ৬৪ রানে নাঈমের বলেই কুপোকাত তিনি। এবার সোজা ব অলে ড্রাইভ করতে গিয়ে বোলারকেই দেন সহজ ক্যাচ। এতে ভাঙে আরভিনের সঙ্গে তার ১১১ রানের জুটি।
এরপর ক্রিজে আসা ব্র্যান্ডন টেইলরের উপর সবচেয়ে আশা ছিল জিম্বাবুয়ের। দলের সবচেয়ে অভিজ্ঞ তিনি। বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্টে হাজারের উপর রান করেছেন। প্রিয় প্রতিপক্ষের বিপক্ষে এবার পেলেন না তাল।
ক্রিজে এসেই ভুগলেন অস্থিরতায়। ইনসাইড আউটে চার মারার পর নাঈমকে খেলতে গেলেন রিভার্স সুইপ। বল ব্যাটে পেলেন না, পরের বলে আবার একই শটের পুনরাবৃত্তি করতে গিয়ে স্টাম্পে টেনে আনেন বল।
অনেকক্ষণ উইকেট না পাওয়া বাংলাদেশ পর পর তুলে নেয় দুই উইকেট। এরপর বাকি সেশনে আর কোন বিপর্যয় ফেলতে দেননি আরভিন-সিকান্দার। ১৪৪ বলে ৮ চারে আরভিন করে ফেলেছেন ৬০ রান। বেশ ভালো উইকেটে বড় কিছুরই আভাস তার ব্যাটে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
(প্রথম দিনের চা-বিরতি পর্যন্ত)
জিম্বাবুয়ে প্রথম ইনিংস: ৬০ ওভারে ১৫০/৩ (মাসবাউরে ৬৪, কাসুজা ২, আরভিন ব্যাটিং ৬০* , টেইলর ১০ সিকান্দার ব্যাটিং ৭* ; ইবাদত ০/২০, জায়েদ ১/৩২, নাঈম ২/৪৫, তাইজুল ০/৪৮)
Comments