'বিশ্রামেও' ব্যর্থ মাহমুদউল্লাহ

সময়টা খুব বাজে যাচ্ছে মাহমুদউল্লাহর। বিশেষ করে লম্বা সংস্করণে। অনেক দিন থেকেই রানের দেখা নেই ব্যাটে। সে কারণে টেস্ট স্কোয়াড থেকে তো 'বাদ'ই পড়েছেন। যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে বলা হয়েছে বিশ্রামে আছেন তিনি। মজার বিষয়, বিশ্রামে থাকা এ খেলোয়াড় এদিন খেলছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগের (বিসিএল) ফাইনাল ম্যাচে। দক্ষিণাঞ্চলের হয়ে খেলতে নেমে সেখানেও ধরে রেখেছেন ব্যর্থতার ধারাবাহিকতা।
mahmudullah
ফাইল ছবি

সময়টা খুব বাজে যাচ্ছে মাহমুদউল্লাহর। বিশেষ করে লম্বা সংস্করণে। অনেক দিন থেকেই রানের দেখা নেই ব্যাটে। সে কারণে টেস্ট স্কোয়াড থেকে তো 'বাদ'ই পড়েছেন। যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে বলা হয়েছে বিশ্রামে আছেন তিনি। মজার বিষয়, বিশ্রামে থাকা এ খেলোয়াড় এদিন খেলছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগের (বিসিএল) ফাইনাল ম্যাচে। দক্ষিণাঞ্চলের হয়ে খেলতে নেমে সেখানেও ধরে রেখেছেন ব্যর্থতার ধারাবাহিকতা।

শনিবার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট ম্যাচে থাকার কথা ছিল মাহমুদউল্লাহর। সাম্প্রতিক সময়ের ছন্দহীনতায় জায়গা হারিয়েছেন। সবশেষ পাকিস্তানের বিপক্ষে ব্যর্থতার চেয়েও বেশি আলোচিত হয়েছে মাহমুদউল্লাহর আউট হওয়ার ধরণ নিয়ে। নাসীম শাহর হ্যাটট্রিক বলটি উইকেটের বাইরে থেকে টেনে বোল্ড হয়েছেন তিনি। ঘরোয়া ক্রিকেটে নিজেকে প্রমাণ করার প্রথম সুযোগেও ব্যর্থ হলেন। এদিন মাত্র ১ রান করেছেন মাহমুদউল্লাহ। অথচ তার প্রায় সব সতীর্থই কম বেশি রান করতে পেয়েছেন।

তবে মাহমুদউল্লাহ ব্যর্থ হলেও তার দল দক্ষিণাঞ্চল আছে সুবিধাজনক অবস্থানেই। প্রথম দিনের খেলা শেষে ৬ উইকেটে ৩০৫ রান তুলেছে দলটি। অবশ্য ইঙ্গিত ছিল আরও ভালো কিছু করার। শেষ দিকের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে লড়াইয়ে ফিরে আসে পূর্বাঞ্চল।

চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে এদিন টস জিতে ব্যাটিং করতে নামে দক্ষিণাঞ্চল। দুই ওপেনার এনামুল হক বিজয় ও ফজলে রাব্বির ব্যাটে শুরুটাও হয় দুর্দান্ত। ১৩৬ রানের ওপেনিং জুটি উপহার দেন তারা। বিজয় রানআউট হওয়ায় ভাঙে এ জুটি। এরপর আল-আমিন জুনিয়রের সঙ্গে ৫৩ রানের আরও একটি জুটি গড়েন ফজলে।

দলীয় ১৮৯ রানে ফজলে রাব্বিকে ফেরায় পূর্বাঞ্চল। এরপর ৪২ রানের ব্যবধানে ৪টি উইকেট তুলে দারুণভাবে ম্যাচে ফিরে আসে তারা। তবে পঞ্চম উইকেটে শামসুর রহমানের সঙ্গে মেহেদী হাসানের ৫২ রানের জুটিতে আবারো কক্ষপথে ফিরে আসে দক্ষিণাঞ্চল। অবশ্য শেষ দিকে এ জুটিও ভাঙতে পেড়েছে পূর্বাঞ্চল। তবে প্রথম দিন শেষে ৬ উইকেটে ৩০৫ রানের ভালো সংগ্রহই পায় দক্ষিণাঞ্চল।

দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৮৬ রানের ইনিংস খেলেছেন ফজলে রাব্বি। ১৫৫ বলে ৯টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে এ রান করেন তিনি। ১৩১ বলে ৫টি চার ও ১টি ছক্কায় ৭৬ রান আসে বিজয়ের ব্যাট থেকে। এছাড়া আল-আমিন ৩৯ ও মেহেদী হাসান ৩৬ রান করেন। শামসুর রহমান ৩৭ রানে অপরাজিত আছেন। তার সঙ্গী ফরহাদ রেজা উইকেটে আছেন ৮ রানে।

পূর্বাঞ্চলের হয়ে ৫৮ রানের খরচায় ২টি উইকেট পেয়েছেন রুয়েল মিয়া। ১টি করে শিকার করেছেন আবু হায়দার রনি, সাকলাইন সজীব ও আফিফ হোসেন।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

দক্ষিণাঞ্চল: ৮৮ ওভারে ৩০৫/৬ (ফজলে ৮৬, বিসজয় ৭৬, আল-আমিন ৩৯, শামসুর ৩৭*, মাহমুদউল্লাহ ১, সোহান ১৮, মেহেদী ৩৬, রেজা ৮*; রুয়েল ২/৫৮, রনি ১/৪১, হাসান ০/৪৬, মাহমুদুল ০/৯৪, সাকলাইন ১/৫১, আফিফ ১/১৩)।

Comments