সাত বছরের খরা কাটানোর সুযোগ এসেছিল রাহির সামনে

রবিউল ইসলাম শিবলুর নামটা আজ বাংলাদেশের ক্রিকেটে বিস্মৃতপ্রায়। দেশের ক্রিকেটের মূল স্রোত থেকে হারিয়ে যাওয়া রবিউল যেন সুদূরে ফেলে আসা কোন নাম। দারুণ সম্ভাবনা আর নৈপুণ্য দেখিয়ে বাংলাদেশের ক্রিকেটে আসা রবিউল রোববার মিরপুরে আবার এসেছিলেন আলোচনায়। তাকে আলোচনায় আনা আবু জায়েদ রাহি ৫ উইকেট পেলেই একটা খরাও যে কাটত বাংলাদেশের।
২০১৩ সালের এপ্রিল মাসে জিম্বাবুয়ে সফরে টানা দুই টেস্টে ৬ ও ৫ উইকেট নিয়েছিলেন ডানহাতি পেসার রবিউল। অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি এরপর সাত বছরে বাংলাদেশের আর কোন পেসার টেস্টে নিতে পারেননি ৫ উইকেট। রোববার জিম্বাবুয়ের ইনিংসে ২৬৫ রানে গুটিয়ে যাওয়ার সময় আবু জায়েদের বোলিং ফিগার- ২৪-৬-৭১-৪। এবার খুব কাছে গিয়েও হয়নি রাহির।
এদিন প্রথমবার ৫ উইকেট পেলে আরেকজনের পাশেও বসা হতো আবু জায়েদের। ঘরের মাঠে টেস্টে বাংলাদেশের একজন পেসারই নিতে পেরেছিলেন ৫ উইকেট। সেই শাহাদাত হোসেন শৃঙ্খলাভঙের কারণে নিষিদ্ধ হয়ে ঘরোয়া ক্রিকেটেও নেই। দক্ষিণ আফ্রিকা, নিউজিল্যান্ড ও ভারতের বিপক্ষে দেশে তিনবার ৫ উইকেট নিয়েছিলেন শাহাদাত। তিনবারের সর্বশেষটি খুঁজতে হলেও যেতে হবে ২০১০ সালে। চট্টগ্রামে সেবার ভারতীয় প্রতাপশালী ব্যাটিং লাইনআপের বিপক্ষেও ৭১ রানে ৫ উইকেট পেয়েছিলেন শাহাদাত। ঘরের মাঠে আর কোন পেসার করতে পারেননি এমন কিছু। যদিও সাম্প্রতিক সময়ে সেই সুযোগও হয়ে পড়েছিল সীমিত। দেশে একাধিক টেস্ট পেসারছাড়াই নেমে খেলেছে বাংলাদেশ। পেসার থাকলে অল্প কয়েকওভারের বেশি বোলিং পাননি। এবার সেই সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে খেলতে নেমেছে দল। তাতেই ঝলক দেখিয়ে সামর্থ্যের প্রমাণ দিয়েছেন রাহি।
এদিন রাহি নিখুঁত লাইনে বল করে আউটস্যুয়িং বের করে ব্যাটসম্যানদের নাজেহাল করে গেছেন ক্রমাগত। তাতেই মিলে ফল, দিনের শুরুর দিকে ডোনাল্ড টিরিপানোকে বানান উইকেটের পেছনে ক্যাচ। পরে এলবিডব্লিও করে বিদায় করেন আনসিলে এনবোদোকে। ৪ উইকেট তখনই হয়ে যায়। আরেক প্রান্তে তাইজুল নবম উইকেট নিলে ৫ উইকেট পুরো করতে এগারো নম্বর ব্যাটসম্যানকেও পেয়েছিলেন রাহি। কিন্তু হয়নি। টানা ৮ ওভারের স্পেলে ২ উইকেটের বেশি নিতে পারেননি। থেকে যায় আক্ষেপ।
Comments