মুমিনুল-মুশফিকের ব্যাটে স্বস্তির এক সেশন

ছবি: ফিরোজ আহমেদ

অনেক দিন থেকেই সাদা পোশাকে বাংলাদেশের সময়টা ভালো যাচ্ছে না। টানা ছয় টেস্টের হারের চেয়ে বেদনাদায়ক ছিল হারের ধরণ নিয়ে। উইকেটে গিয়ে যেন ব্যাটিংই ভুলে যান টাইগাররা। সেখানে এক সেশনে কোন উইকেট না হারানো, এর চেয়ে দারুণ ব্যাপার আর কি হতে পারে। মূলত দেশ সেরা দুই ব্যাটসম্যান অধিনায়ক মুমিনুল হক ও মুশফিকুর রহিমের সেঞ্চুরিতে অন্যরকম একটি সেশন পার করল বাংলাদেশ।

সোমবার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে তৃতীয় দিনে লাঞ্চ বিরতির আগে ৩ উইকেটে ৩৫১ রান তুলেছে বাংলাদেশ। মুমিনুল হক ১১৯ ও মুশফিকুর রহিম ৯৯ রানে অপরাজিত রয়েছেন। বাংলাদেশের লিড ছাড়িয়েছে ৮৬ রানে।

আগের দিন ৩ উইকেটে ২৪০ রানে খেলতে নামা বাংলাদেশ দলের শুরুটা এদিন হয় দুর্দান্ত। সকাল থেকেই দারুণ ব্যাটিং করেন দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান মুশফিক ও মুমিনুল।  দেশের বাইরে নড়বড়ে থাকলেও ঘরের মাঠে বরাবরই ভালো খেলেন মুমিনুল। সাম্প্রতিক সময়ে সেটাও যেন কঠিন হয়ে যাচ্ছিল। তবে এদিন ফের নিজের সহজাত খেলার ইঙ্গিত দিয়েছেন। তুলে নিয়েছেন আরও একটি টেস্ট সেঞ্চুরি।

দ্বিতীয় দিন শেষে ৭৯ রানে অপরাজিত থাকা মুমিনুল সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে নেমে দ্রুতই পৌঁছেছেন তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগারে। ১৫৬ বলে ১২ চারে তিন অঙ্কে পৌঁছান তিনি। ৯৬ থেকে চার মেরেই মাইলফলক ছুঁয়ে স্বস্তিতে ব্যাট উঁচু করে তুলেছেন অধিনায়ক।

টেস্টে মুমিনুলের এটি নবম সেঞ্চুরি। সাদা পোশাকে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সর্বোচ্চ সেঞ্চুরি করার কীর্তিতে তামিম ইকবালের পাশেও বসলেন তিনি। মুমিনুলের নয় সেঞ্চুরির সবগুলোই এলো দেশের মাঠে। সাতটি সেঞ্চুরি তিনি করেছেন চট্টগ্রামের মাঠে, বাকি দুটি এই মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে। এর আগে ২০১৮ সালের নভেম্বরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্ট সেঞ্চুরি করেছিলেন মুমিনুল।

তবে অনেকটা কথা দিয়েই সেঞ্চুরি আদায় করে নিয়েছেন অধিনায়ক মুমিনুল। ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন তিনি কিংবা তার সতীর্থ কেউ এ টেস্টে সেঞ্চুরি অবশ্যই করবে। তার দেওয়া কথার ষোলোআনাই পূরণ করেছেন তিনি। নিজে সেঞ্চুরি করেছেন। তার সতীর্থ মুশফিকও আছেন সে পথে। সেঞ্চুরি থেকে মাত্র ১ রান দূরে আছেন তিনি।

২০১৮ সালের নভেম্বরে এই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই করেছিলেন ডাবল সেঞ্চুরি। এরপর মাঝে ১১ ইনিংস পর ফের তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগারের হাতছানি তার সামনে। মাঝে অবশ্য দু'টি ইনিংসে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন ভালো কিছুর। কিন্তু হয়েও হয়নি।

তবে সব মিলিয়ে দারুণ এক সেশন পার করল বাংলাদেশ। এ সেশনে কোন উইকেট না হারিয়ে ১২১ রান তুলেছে টাইগাররা। মুশফিক-মুমিনুলের অবিচ্ছিন্ন জুটি পৌঁছেছে ১৭৯ রানে।   

সংক্ষিপ্ত স্কোর: (তৃতীয় দিনের লাঞ্চ বিরতি পর্যন্ত)

জিম্বাবুয়ে প্রথম ইনিংস: ২৬৫

বাংলাদেশ প্রথম ইনিংস: ৯৯ ওভারে ৩৫১/৩ (তামিম ৪১, সাইফ ৮, শান্ত ৭১, মুমিনুল ব্যাটিং ১১৯, মুশফিক ব্যাটিং ৯৯; টিরিপানো ১/৬০, নিয়াউচি ১/৭১, রাজা ০/৯১, টুসুমা ১/৫৮, এনডিলোভু ০/৬৪)।

Comments

The Daily Star  | English
NCP will not accept delay in Teesta master plan

Won’t accept any implementation delay: Nahid

National Citizen Party Convener Nahid Islam yesterday said his party would not accept any delay or political maneuver over implementing the Teesta master plan.

6h ago