মুশফিকের ব্যাটে বড় লিড নিয়ে ছুটছে বাংলাদেশ

মুমিনুল ফিরে যাওয়ার পরও একই তালে ছুটছে মুশফিকের ব্যাট।
Mushfiqur Rahim
ছবি: ফিরোজ আহমেদ

কোনো উইকেটে না হারিয়ে প্রথম সেশনে ১২১ রান তুলেছিল বাংলাদেশ। সেঞ্চুরি তুলে খেলছিলেন মুমিনুল হক, মুশফিকুর রহিম ছিলেন সেঞ্চুরির দ্বারপ্রান্তে। লাঞ্চ থেকে ফিরেই সেঞ্চুরিতে পৌঁছান মুশফিক, তার ব্যাট হয়ে ওঠে আরও আগ্রাসী, তাল মিলিয়ে এগুতে থাকেন দুজন। পরে মুমিনুল ফিরে গেলেও একই তালে ছুটছে মুশফিকের ব্যাট।

সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) মিরপুর টেস্টের তৃতীয় দিনে ৫ উইকেটে ৪৪২ রান তুলে চা-বিরতিতে গেছে বাংলাদেশ। হাতে ৫ উইকেট নিয়ে এর মধ্যে ১৭৭ রানের লিড নিয়ে নিয়েছে মুমিনুলের দল। টেস্টের চতুর্থ ও পঞ্চম দিন আছে বৃষ্টির পূর্বাভাস। তৃতীয় দিনের দ্বিতীয় সেশনের পুরোটাতে সেই আভাস যেন আরও জোরালো হয়েছে। কারণ এই সেশনের পুরোটা সময় ছিল মেঘলা।

লাঞ্চের পর জুটি বাড়ছিল, আকাশের অবস্থা দেখে দ্রুত রান বাড়াচ্ছিলেন মুশফিক-মুমনিল। চতুর্থ উইকেটে নিজেদের রেকর্ড জুটি ছাড়িয়ে যাওয়ারও হাতছানি ছিল তাদের সামনে। তবে দ্রুত রান তোলার চিন্তাতেই কাটা পড়েন মুমিনুল।

বাঁহাতি স্পিনার আইনসলে এনডিলোভুর বলে রিটার্ন ক্যাচ দিয়ে বাংলাদেশ দলনেতা আউট হন ১৩২ রানে। এতে ভেঙে যায় মুশফিকের সঙ্গে তার ২২২ রানের জুটি।

ছয়ে নেমে মোহাম্মদ মিঠুন থিতু হয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু যেভাবে আউট হয়েছেন তা তাকে আসামীর কাঠগড়ায় তুলতেই পারে। এনডিলোভুর বলেই কাট করতে গিয়েছিলেন। বল তার ব্যাটের কানায় লেগে জমা পড়ে উইকেটকিপারের গ্লাভসে। সবচেয়ে বিস্ময়কর ব্যাপার হলো, নিজের ব্যাটে বল লাগলেও তড়িঘড়ি রিভিউ নিয়ে অহেতুক একটা রিভিউ নষ্ট করে যান তিনি।

তবে পর পর দুজনের বিদায়েও টলেননি মুশফিক। খেলছেন একই তালে। উইকেটকিপিং ছেড়ে কেবল ব্যাটসম্যান হিসেবে নামার পর পাওয়া সেঞ্চুরিকে দেড়শোর কাছে নিয়ে গেছেন তিনি। তার সঙ্গে ৯ রান নিয়ে খেলছেন লিটন দাস।

সংক্ষিপ্ত স্কোর: (তৃতীয় দিনের চা- বিরতি পর্যন্ত)

জিম্বাবুয়ে প্রথম ইনিংস: ২৬৫

বাংলাদেশ প্রথম ইনিংস: ১২৭ ওভারে ৪৪২/৫ (তামিম ৪১, সাইফ ৮, শান্ত ৭১, মুমিনুল ১৩২, মুশফিক ব্যাটিং ১৪৩*, মিঠুন ১৭, লিটন ব্যাটিং ৯*; টিরিপানো ১/৯৬, নিয়াউচি ১/৭৪, রাজা ০/৯১, টুসুমা ১/৫৮, এনডিলোভু ২/১১২)।

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

8h ago