‘তামিমের চেয়ে এক রান হলেও বেশি করতে চাই’
তিন সংস্করণেই বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ছিলেন তামিম ইকবাল। ছিলেন বলতে হচ্ছে কারণ টেস্টে তামিমের শীর্ষস্থান এখন মুশফিকুর রহিমের দখলে। ব্যাট করতে নামার সময় তামিম ইকবালের চেয়ে ১৯৫ রানে পিছিয়ে ছিলেন মুশফিক। ইনিংস ঘোষণার সময় তার পাশে জ্বলজ্বল করছে অপরাজিত ২০৩। এমন এক মাইলফলকে পৌঁছার কথা সংবাদ সম্মেলনে এসেই জানতে পারেন তিনি।
৭০ টেস্টে মুশফিকের রান এখন ৪৪১৩, ৬০ টেস্ট খেলে এখন পর্যন্ত তামিম করেছেন ৪৪০৫ রান। এদিন ডাবল সেঞ্চুরি করার পথে তামিমকে টপকে এক নম্বরে বসেন মুশফিক। পরিসংখ্যান প্রিয় তামিম সব রেকর্ড মাথায় রাখলেও মুশফিকের তা ছিল না। দিনশেষে জানালেন প্রিয় বন্ধুর সঙ্গে সুস্থ লড়াইটা চালিয়ে যেতে চান, তামিমেরও ভাল চান কিন্তু নিজেকে একটু হলেও রাখতে চান উপরে, ‘এটা এখনো আমি জানি না সত্যি কথা বলতে। ও (তামিম ইকবাল) জানে , ও আসলে সব কিছুই জানে। ও হয়ত কিছু বলতে পারে। কিন্তু দেখেন বাংলাদেশে আমার সবচেয়ে প্রিয় ব্যাটসম্যান তামিম ইকবাল। ওর সঙ্গে সব সময় আমার একটা প্রতিযোগিতা থাকে, সুস্থ লড়াই যাকে বলে। ও আমাকে অনেক অনুপ্রাণীত করে, আমিও করি। ওর সাফল্যে আমি খুশি হই। যেকোনো দলে এরকম সুস্থ লড়াই দলের জন্যই ভালো। মনে প্রাণে চাই ও যেন হাইয়েস্ট স্কোয়ার হয়, তারপর চাই ওর চেয়ে এক রানও যেন আমি বেশি করতে পারি।’
টেস্টে বাংলাদেশের সেরা ব্যাটসম্যানকে এই নিয়েও আছেন বিভিন্ন মতো। কেউ এগিয়ে রাখেন তামিমকে, কেউ মনে করেন মুশফিকই সেরা। মুশফিক নিজে অবশ্য তাকে রাখলেন পিছিয়ে, ‘এটা কঠিন (কে সেরা)। আপনি যেটা বলছেন (সেরা) সেজন্য ধন্যবাদ। আমার টেকনিক বা ধৈর্য অনেকে বলতে পারে (সেরা), কিন্তু আমার কখনো মনে হয় না (সেরা)। আমার ব্যাটিংয়ের হাইলাইট যখন দেখি সত্যি কথা বলতে নিজের কাছে ভাল লাগে না। আমার তখন মনে হয় ইশ তামিমের মতো যদি ওই ড্রাইভটা করতে পারতাম বা সাকিবের মতো এই কাটটা খেলতে পারতাম বা অন ড্রাইভ করতে পারতাম। আল্লাহ হয়ত সবাইকে সব কিছু দেয় না। আল্লাহ আমাকে যেটা দিয়েছে মাথা হয়ত অন্যজনের থেকে একটু বেটার।’
সোমবার মুশফিকের ইনিংসে ভর করেই শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ৬ উইকেটে ৫৬০ রান করে ইনিংস ঘোষণা করে বাংলাদেশ। ২৯৫ রানে পিছিয়ে থাকা জিম্বাবুয়ে ব্যাট করতে গিয়ে ৯ রানেই হারিয়ে বসে ২ উইকেট।
Comments