‘সরকারের বিরোধিতা মানেই দেশদ্রোহিতা নয়’
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) ও জাতীয় নাগরিক নিবন্ধন (এনআরসি) নিয়ে ভারতে চলা বিক্ষোভে এখন পর্যন্ত সাতজন নিহত হয়েছেন। সংঘর্ষের সঙ্গে পাল্লা দিয়েই বাড়ছে বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহের মামলা। এ নিয়ে মুখ খুললেন দেশটির সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি দীপক গুপ্ত।
তিনি বলেন, সরকারের বিরোধিতা বা বিরুদ্ধ মত প্রকাশ করা মানেই দেশদ্রাহিতা নয়। তবে প্রায়ই সরকারের বিরোধিতা হলেই ‘দেশদ্রোহ’ বলে দেওয়ার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। বিভিন্ন সময় সরকার পক্ষের নেতারা বিরোধীদের কাজকর্মকে দেশদ্রোহিতা বলে মন্তব্য করছেন।
গতকাল সোমবার সুপ্রিম কোর্টের বার কাউন্সিলে আয়োজিত এক সভায় অংশ নিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন বলে জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম। দীপক গুপ্ত আরও বলেন, আমলাতন্ত্র, বিচার-ব্যবস্থা, সেনা বাহিনীর বিরোধিতাকে দেশদ্রোহ বলা যায় না। সমালোচনাকে যদি আমরা চেপে ধরি তাহলে রাষ্ট্র একটা পুলিশ স্টেট হয়ে যাবে। সরকারের কাছে জবাবদিহি দেশের মানুষের অধিকার। সমাজকর্মী, আইনজীবী, ছাত্রদের দেশদ্রোহী তকমা দেওয়ার প্রবণতা বাড়ছে। এ সংক্রান্ত মামলার সংখ্যাও বাড়ছে।
বেশিরভাগ ভোট পেয়ে কোনো দল সরকার ক্ষমতায় আসতেই পারে। কিন্তু তার মানে এই নয়, সেই সরকার দেশের সব মানুষের ইচ্ছা-অনিচ্ছার প্রতিনিধি। সাধারণ মানুষের জড়ো হয়েওয়ার অধিকার আছে। কোনো কিছুর প্রতিবাদ করার অধিকার আছে। তাদের কাজ যেমন সব সময় ঠিক না-ও হতে পারে। সে রকম সরকার সব সময় ঠিক না-ও হতে পারে, বলেন দীপক গুপ্ত।
Comments