দিল্লিতে সহিংসতায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৭

ভারতের নয়াদিল্লিতে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ-সংঘর্ষের ঘটনায় মৃত্যুর মিছিল বেড়েই চলেছে। সিএএ সমর্থক ও বিরোধীদের মধ্যে চলমান সংঘর্ষে ইতোমধ্যে ২৭ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে এনডিটিভি।
ছবি: রয়টার্স

ভারতের নয়াদিল্লিতে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ-সংঘর্ষের ঘটনায় মৃত্যুর মিছিল বেড়েই চলেছে। সিএএ সমর্থক ও বিরোধীদের মধ্যে চলমান সংঘর্ষে ইতোমধ্যে ২৭ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে এনডিটিভি।

সংঘর্ষে নিহতের মধ্যে পুলিশ সদস্যও আছেন। আহতের সংখ্যা ২৫০ ছাড়িয়ে যাওয়ার তথ্য জানিয়েছে দেশটির একাধিক সংবাদমাধ্যম।

পরিস্থিতি স্বাভাবিকে টুইট বার্তায় দিল্লিবাসীকে শান্তি ও ভ্রাতৃত্বের ডাক দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

এদিকে, সহিংসতায় বিজেপি ইন্ধন দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী। সংঘর্ষের ঘটনায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করেছেন তিনি।  

ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল। তিনি সেখানকার ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করেছেন। অজিত ডোভাল সিলামপুর, জাফরাবাদ, মৌজপুর, গোকুলপুরী ঘুরে এসব এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন।

গতকাল দিল্লি হাইকোর্ট আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করার নির্দেশ দিয়েছেন। এছাড়াও, পরিস্থিতি পর্যালোচনার জন্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠক ডাকা হয়েছে। 

দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ গত ২৪ ঘণ্টায় তিনটি বৈঠক করেছেন। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় পুলিশ সার্ভিসের (আইপিএস) কর্মকর্তা এস এন শ্রীবাস্তব। গতকাল তাকে বিশেষ পুলিশ কমিশনার হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

উত্তর-পূর্ব দিল্লিতে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। তারপরও সংঘর্ষ ঠেকাতে পারছে না প্রশাসন। কোথাও কোথাও দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যাচ্ছে, আবার কোথাও আগুন লাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ভজনপুরা, খাজুরিখাস, মৌজপুর, বিজয় পার্ক, যমুনা বিহার, গামরি, করদমপুরি এলাকায় তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে।

মৌজপুরে এক সাংবাদিক গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। সেখানে একটি রিকশায় আগুন লাগিয়ে দিয়ে যাত্রীদের জিনিসপত্র লুট করেছে দুর্বৃত্তরা।

গতকাল সকাল থেকে দিল্লিতে থমথমে অবস্থা বিরাজ করলেও, বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নতুন করে সংঘর্ষ শুরু হয়। উত্তর-পূর্ব দিল্লির বিভিন্ন এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ, আরএএফ ও আধা সামরিক বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English
justice delayed due to fake cases

A curious tale of two cases

Two cases were filed over the killing of two men in the capital’s Jatrabari during the mass uprising that toppled the Awami League government.

14h ago