চোট থেকে ফেরা সাইফউদ্দিন বললেন, ‘আমি এসবে অভ্যস্ত’

আরও এক চোটে কাটিয়ে পাঁচ মাস পর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ফিরছেন সাইফউদ্দিন। দীর্ঘদিন পর হলেও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ফেরার আগে কোনো চাপ অনুভব করছেন না জানিয়ে তিনি বলেছেন, এসব খারাপ অভিজ্ঞতার সঙ্গে অভ্যস্ত হয়ে গেছেন।
saifuddin
ছবি: এএফপি

দারুণ সম্ভাবনা নিয়ে বাংলাদেশ দলে ঢুকেছেন পেস অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। তবে অভিষেকের পর কয়েক দফা বাদ পড়েছেন তিনি। কখনো বাজে পারফরম্যান্সের কারণে, আবার কখনো চোটে পড়ায়। তবে ঘুরে দাঁড়িয়েছেন প্রতিবার। তেমনি আরও এক চোটে কাটিয়ে পাঁচ মাস পর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ফিরছেন তিনি। দীর্ঘদিন পর হলেও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ফেরার আগে কোনো চাপ অনুভব করছেন না জানিয়ে সাইফউদ্দিন বলেছেন, এসব খারাপ অভিজ্ঞতার সঙ্গে অভ্যস্ত হয়ে গেছেন।

লম্বা সময় পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরা সবসময়ই কঠিন। তার উপর সাইফউদ্দিন ঘরোয়া ক্রিকেটেও ফিরেছেন মাত্র সপ্তাহ দুয়েক হলো। তাই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে মানিয়ে নিতে তার কিছুটা অস্বস্তি কাজ করতে পারে। কিন্তু বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) তিনি জানিয়েছেন ভিন্ন কথা, ‘চাপ না। উপভোগ করা দরকার। চোটের কারণে হয়তো পাঁচ মাস বাইরে ছিলাম। কিন্তু আমি বাজে পারফরম্যান্সের কারণেও দলের বাইরে ছিলাম আট মাস। আমি এসবে অভ্যস্ত। এখন হয়তো চোট থেকে ফিরছি। আগেও এমন হয়েছে। এসব আসলে চাপ না। পেশাদার হিসেবে এটাই সত্যি। ভালো খেললে থাকব। খারাপ খেলবে বাইরে চলে যাব।’

পেশাদার ক্রিকেটার হিসেবে উত্থান-পতন নিয়েই খেলতে হবে বলে মত সাইফউদ্দিনের, ‘সব পেসারই চোট থেকে সেরে মাঠে ফেরে। এটা অভ্যাস হয়ে গেছে। এটা আমার জন্য প্রথম না। অভ্যাস হয়ে গেছে। চোটের তো কোনো নিশ্চয়তা নেই। আমার পিঠের ব্যথা পুনর্বাসন প্রক্রিয়ায় ঠিক করেছি। এটা তো আসলে বলা যায় না। আর চোট তো আসলে শুধু পিঠে না, হ্যামস্ট্রিং, গ্রোয়েন, হাঁটুতেও হতে পারে। সব জায়গায় হতে পারে। গত পাঁচ-ছয় মাস যা করে এসেছি, সেগুলো করলে হয়তো এড়ানো যাবে। তবে কখন চোট হবে সেটা কিন্তু বলা কঠিন। ফিল্ডিং করতে গেলেও হতে পারে।’

চোট কাটিয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগ (বিসিএল) দিয়ে মাঠে ফিরেছেন সাইফউদ্দিন। সেখানে অবশ্য নিজের সেরাটা দিয়ে খেলতে পারেননি। ফিজিও-চিকিৎসকদের বেঁধে দেওয়া নির্দিষ্ট ওভারের বেশি বল করতে পারেননি। তবে পুরোপুরি সুস্থ হয়ে ওঠায় পুরো উদ্যমে মাঠে নামতে তিনি মুখিয়ে, ‘আমি সম্পূর্ণ ছাড়পত্র পেয়েছি মেডিক্যাল টিম থেকে। এখন আমার কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। বিসিএল খেলেছিলাম, সেখানে একটু বাঁধা-ধরা নিয়ম ছিল। এক ইনিংসে ৮ ওভার করব। সেটা দুই সপ্তাহ হয়ে গেছে। এখন আশা করি, শতভাগ গিয়ে খেলতে পারব।’

Comments

The Daily Star  | English

How Islami Bank was taken over ‘at gunpoint’

Islami Bank, the largest private bank by deposits in 2017, was a lucrative target for Sheikh Hasina’s cronies when an influential business group with her blessing occupied it by force – a “perfect robbery” in Bangladesh’s banking history.

8h ago