পেসারদের মধ্যর মধুর লড়াই দেখছেন সাইফুদ্দিন
গত বিশ্বকাপে নতুন বলে দলের মূল ভরসা হয়ে উঠেছিলেন মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন। বিশ্বকাপের পর পর ছিটকে যান চোটে। শ্রীলঙ্কা সফরে তার জায়গায় খেলতে গিয়ে দারুণ করেন শফিউল ইসলাম। এরপর আর ওয়ানডে খেলেনি বাংলাদেশ। সাত মাস পর আরেকটি ওয়ানডে সিরিজে চোট কাটিয়ে দলে এসে সাইফুদ্দিন দেখতে পাচ্ছেন আগের জায়গাটা ঠিক আগের মতো নেই।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে বাংলাদেশের স্কোয়াডে পেসার আছেন পাঁচজন। অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজার সঙ্গে সাইফুদ্দিন ছাড়াও আছেন শফিউল ইসলাম, আল-আমিন হোসেন ও মোস্তাফিজুর রহমান।
এরমধ্যে নতুন বলের কার্যকর হতে পারেন - মাশরাফি, সাইফুদ্দিন আর শফিউল। কিন্তু তিনজনেরই তো নতুন বল পাওয়া সম্ভব না। বিশ্বকাপে সমস্যা হয়েছিল উলটো। রুবেল হোসেন নতুন বলে কার্যকর না হওয়ায় আর মোস্তাফিজুর রহমান সানন্দে রাজী না হওয়ায় বিপাকে পড়েছিল বাংলাদেশ। সাইফুদ্দিন তার কাজ চালিয়েছেন নতুন বলে, মাশরাফি সেরা ছন্দে না থাকায় নতুন বল ছিল বাংলাদেশের বড় সংকটের কারণে। এখন শফিউল সেরা অবস্থায় থাকায় মধুর সমস্যা বাংলাদেশের।
শুক্রবার সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রথমদিনের অনুশীলনের পর সাইফুদ্দিন জানালেন এই লড়াইটাই চাইছিলেন তারা, ‘প্রতিযোগিতা ভালো। দিন শেষে আমরা দলের কথা চিন্তা করি। যদি আমার থেকে ভালো কেউ আসে অবশ্যই তাকে স্বাগতম। আমার চিন্তা থাকবে তার থেকে ভালো করে দলে জায়গা করে নেওয়া। আমার জায়গায় কেউ এসে খারাপ করুক এটা তো কেউ কোনোদিনও চাইবো না। প্রমাণ করে আসতে হবে তখন।’
চোট কাটিয়ে খেলায় ফেরা সাইফুদ্দিন নতুন বল আর স্লগ ওভারে আবার নিজের পুরনো ভূমিকা রাখতে চান। কোচ রাসেল ডমিঙ্গো, ওটিস গিবসনদের কাছ থেকেও মিলেছে ভরসা, ‘এর আগে আমি বিশ্বকাপে ও আগের সিরিজগুলোতে নতুন বলে ও স্লগ ওভারগুলোতে বোলিং করেছি। অধিনায়ক নতুন বল তুলে দিয়ে পারফরপ্লেতে আমার থেকে উইকেটের প্রত্যাশায় থাকে। ডেড বোলিংয়ে সব সময় রান সেভ করা যায় তত ভালো। তাতে আমাদের দলের ব্যাটসম্যানদের জন্য কাজটা সহজ হয়ে যায়।’
‘কোচের সঙ্গে আমি ত্রিদেশীয় সিরিজে কাজ করেছি। ওখানে আমার স্কিল, বোলিং ব্যাটিং সব কিছু দেখেছে। আমার খুব একটা সমস্যা হচ্ছে না।’
Comments