দিল্লি সহিংসতা: ফোন পেয়েও সাড়া দেয়নি পুলিশ

INDIA-CITIZENSHIP-PROTESTS-HOSPITAL.jpg
সহিংসতায় গুরুতর আহত মুসলিম দুই ব্যক্তিকে দিল্লির আল হিন্দ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। ছবি: রয়টার্স

সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) নিয়ে চার দিন ধরে চলা সহিংসতার পর স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে দিল্লির পরিস্থিতি।

সহিংসতায় প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৪২ জন, আহত হয়েছেন কয়েকশ। ভাঙচুর ও পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে উত্তর-পূর্ব দিল্লির বহু ঘরবাড়ি, দোকান ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান। সহিংসতায় সেখানকার মানুষের গোছানো, স্বাভাবিক জীবন তছনছ হয়ে গেছে। স্বজন হারিয়ে আহাজারি করছে নিহতদের পরিবার। এ ছাড়াও, এখনও অনেকে নিখোঁজ রয়েছেন সেখানে।

সহিংসতা চলাকালে সহায়তা চেয়ে দিল্লি পুলিশের কাছে অনেকেই ফোন করেছিলেন। কিন্তু, ফোন পেয়ে যথাযথ সাড়া দেয়নি দিল্লি পুলিশ।

আজ শনিবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চার দিন (২৩-২৬ ফেব্রুয়ারি) ধরে চলা সহিংসতায় সাহায্যের জন্য ১৩ হাজার ২০০টি ফোন এসেছিল দিল্লি পুলিশের কাছে। এর মধ্যে ২৩ ফেব্রুয়ারি ৭০০টি, ২৪ ফেব্রুয়ারি ৩ হাজার ৫০০টি ও ২৫ ফেব্রুয়ারি ৭ হাজার ৫০০টি ফোন আসে। ২৬ ফেব্রুয়ারি ফোনের সংখ্যা কমে দেড় হাজারে দাঁড়ায়।

কোনদিন সহিংসতা বেশি হয়েছে, ফোনের সংখ্যা দেখলেই সেটি ধারণা করা যায়।

সহিংসতার শিকার যমুনা বিহার ও শিব বিহার—এ দুটি এলাকার থানার কল রেজিস্টার খতিয়ে দেখেছে এনডিটিভি।

দেখা গেছে, যমুনা বিহারের ভজনপুরা থানার রেজিস্টার খাতায় কখন, কেন ফোন এসেছে লেখা থাকলেও সে ব্যাপারে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তা লেখা নেই।

যমুনা বিহারের বিজেপি কাউন্সিলর প্রমোদ গুপ্তা জানিয়েছেন, তিনিও থানায় একাধিকবার ফোন করেছিলেন। কিন্তু তারা ফোন ধরেনি।

তিনি বলেন, ‘পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি। যদি পারত, তাহলে এসব ঘটত না।’

শিব বিহারের কারাওয়াল নগর থানার রেজিস্টার খাতার চিত্রও একইরকম। শিব বিহারের কাছাকাছি অবস্থিত রাজধানী পাবলিক স্কুলে ৬০ ঘণ্টা ধরে তাণ্ডব চলে।

স্কুলের মালিক ফয়জল শেখ বলেছেন, ‘২৪ ফেব্রুয়ারি দুপুর দুইটার দিকে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তারা চলে যায়। পরে, বিকাল ৪-৫টার দিকে ওরা হামলা চালায়। বিষয়টি পুলিশকে জানালে তারা আসছেন বলেও আসেনি।’

Comments

The Daily Star  | English

Foreign observers who endorsed past three polls won’t be allowed: CEC

Only experienced and reliable observers will be permitted to monitor the upcoming national election, he says

15m ago