অধিনায়কের সংবাদ সম্মেলনের উত্তাপে সিরিজের আলাপই ফিকে
রাসেল ডমিঙ্গো প্রধান কোচের দায়িত্ব পাওয়ার পর প্রথম ওয়ানডে সিরিজ, ঠিক সাত মাস পর বাংলাদেশের আরেকটা ওয়ানডে ম্যাচ। হতাশার বিশ্বকাপের পর লাল-সবুজ জার্সিতে আবার মাশরাফি বিন মর্তুজার খেলতে নামা। কত কিছুই থাকতে পারত আলোচনায়। মাশরাফি আলোচনায় থাকলেন বটে, তবে তেতো কথায় উত্তাপ ছড়িয়ে তা চলে গেল অন্য মাত্রায়। অথচ আরও একটা সিরিজ শুরু হচ্ছে। মাঠের খেলা, একাদশ ভাবনা, উইকেট, টেকনিক্যাল বিষয়াদি সব পড়ে গেল আড়ালে।
আগামীকাল রবিবার (১ মার্চ) জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে স্থানীয় সময় দুপুর ১টায় দিবা-রাত্রির ম্যাচে নামছে বাংলাদেশ। সময়ের হিসাবে, বাংলাদেশ ঠিক সাত মাস পর খেলবে আরেকটি ওয়ানডে ম্যাচ। এর আগে গেল জুলাই মাসে শ্রীলঙ্কায় গিয়ে তিন ম্যাচে হার। তার আগেই হতাশার বিশ্বকাপ।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এর আগে হয়েছে কেবল একটাই ওয়ানডে। ২০১৮ সালে এই মাঠের অভিষেক ওয়ানডেতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়েছিল বাংলাদেশ।
ওয়ানডেতে বরাবরই ভালো খেলা বাংলাদেশ সর্বশেষ পাঁচ ম্যাচে পায়নি জয়ের দেখা। বাংলাদেশ সর্বশেষ জিতেছিল আফগানিস্তানের বিপক্ষে। গেল বছর ২৪ জুন সাউদাম্পটনে সেই জয়ের পর বিশ্বকাপে শেষ দুই ম্যাচে ভরাডুবি। প্রত্যাশা পূরণ না হওয়ার পর তখনকার কোচ স্টিভ রোডসের বিদায়।
নতুন কোচ নিয়োগ দেওয়ার পর আর ওয়ানডে খেলা হয়নি বাংলাদেশের। জাতীয় দলের অনুশীলনেও আসা হয়নি মাশরাফির। ডমিঙ্গোর সঙ্গে তার আলাপ-পরিচয়ও তাই একদম নতুন। মাশরাফি-ডমিঙ্গো জুটির রসায়ন কেমন হবে, তা নিয়েও চলতে পারত আলোচনা।
কিন্তু সংবাদ সম্মেলনে আত্মসম্মানবোধ বিষয়ক প্রশ্নে বাংলাদেশ অধিনায়কের ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়ার পর সব কিছুই সরে গেছে ফোকাস থেকে।
কেননা প্রতিপক্ষ হোক না জিম্বাবুয়ে, টানা হারের ধারা থেকে বেরুনোর প্রতীক্ষাও তো রয়েছে বাংলাদেশের। জিম্বাবুয়েও অবশ্য তাদের সর্বশেষ পাঁচ ম্যাচে হেরেছে। তাদের বিপক্ষে সবশেষ ১৩ ওয়ানডেতেই জিতেছে বাংলাদেশ। দেশের মাটিতে সবশেষ ১৬টি! ৫০ ওভারের ক্রিকেটে বাংলাদেশ সফরে এসে জিম্বাবুয়ের সবশেষ জয় সেই ২০১০ সালে।
Comments