লিটনের সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশের বড় সংগ্রহ
পাঁচ বছরেরও বেশি সময় হতে চলল বাংলাদেশ জাতীয় দলে খেলেন লিটন কুমার দাস। উত্থান পতনের এ ক্যারিয়ারে ধারাবাহিকতার অভাবের বদনাম কুড়িয়েছেন বেশ। তবে গত এক বছরে তার ব্যাটিংয়ে পরিবর্তন এসেছে অনেক। বেশ নিয়মিতই ধারাবাহিকভাবে রান করে যাচ্ছেন এ উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান। এদিন জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তুলে নিলেন নিজের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরিই। আর তার সেঞ্চুরিতে জিম্বাবুয়েকে বড় লক্ষ্যই ছুঁড়ে দিয়েছে বাংলাদেশ।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৬ উইকেটে ৩২১ রান সংগ্রহ করেছে বাংলাদেশ। যা জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ স্কোরও বটে। এর আগে ২০০৯ সালে বুলাওয়েতে ৮ উইকেটে ৩২০ রান করেছিল বাংলাদেশ। তবে সবমিলিয়ে এটা বাংলাদেশের অষ্টম সর্বোচ্চ সংগ্রহ। দারুণ এক সেঞ্চুরি তুলে ক্যারিয়ারের সর্বোচ্চ ১২৬ রান করার ইনজুরিতে পড়ে মাঠ ছাড়েন লিটন। শেষ দিকে মোহাম্মদ মিঠুনের ৫০ ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের ঝড়ো ২৮ রানের ইনিংসে পুঁজিটা বড় হয় টাইগারদের।
শনিবার ইনিংসের শুরু থেকেই সাবলীল ব্যাট করছিলেন লিটন। তবে অন্য প্রান্তে তার ওপেনিং সঙ্গী তামিম ইকবাল যেন রানের জন্য হাঁসফাঁস করছিলেন। তবে দুইজনের সৌজন্যে বাংলাদেশের শুরুটা হয় ভালো। ৬০ রানের ওপেনিং জুটি। এরপর ওয়াসলে মাধেভেরের বলে এগিয়ে রক্ষণাত্মক ঢঙে খেলতে গিয়ে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়েন তামিম। শুধু তাই নউ রিভিউটাও খুইয়ে আসেন তিনি। যার খেসারত দিয়েছেন পরবর্তীতে নাজমুল হোসেন শান্ত।
দ্বিতীয় উইকেটে লিটনের সঙ্গে দারুণ ব্যাট করছিলেন শান্ত। তবে টিনিটেনডা মুটমবোডজির অফ স্টাম্পের বেশ বাইরে থাকা বল এলবিডাব্লিউর ফাঁদে পড়েছেন। রিপ্লেতে পরিষ্কার দেখা গিয়েছে পিচ ইমপ্যাক্ট অনেক বাইরে ছিল কিন্তু রিভিউ না থাকায় ব্যক্তিগত ২৯ রানেই শেষ হয় তার ইনিংস। ভাঙে ৮০ রানের জুটি।
তবে অপর প্রান্তে ঠিকই সেঞ্চুরি তুলে নেন লিটন। ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরিটি মাত্র ৯৫ বলে স্পর্শ করেন তিনি। দেখে মনে হচ্ছিল এদিন আরও বড় কিছু করবেন এ ব্যাটসম্যান। কিন্তু দুর্ভাগ্য তার। ক্র্যাম্পের কারণে (পায়ের পেশিতে টান লাগা) তাকে ৩৭তম ওভারের দ্বিতীয় বলে আহত অবসরে যেতে হয়েছে। ওই ডেলিভারিতে অভিষিক্ত স্পিন অলরাউন্ডার ওয়েসলি মাধেভেরেকে ছক্কা হাঁকিয়ে ব্যাথায় কুঁকড়ে ওঠেন তিনি। সাজঘরে যাওয়ার আগে দ্যুতি ছড়িয়ে লিটনের সংগ্রহ ১২৬ রান। ১০৫ বলের ইনিংসে ১৩ চারের সঙ্গে ২ ছক্কা মারেন তিনি।
অবশ্য এর আগে সাজঘরে ফিরে যান মুশফিকুর রহিমও। লিটনের বাইরে যাওয়ায় দুই নতুন ব্যাটসম্যান উইকেটে নামেন। ফলে রানের গতিতে কিছুটা লাগাম দিতে পারে জিম্বাবুয়ে। তবে মোহাম্মদ মিঠুন ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ৬৮ রানের জুটিতে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। ৩৬.১ ওভারে দুইশ রান করা দলটি তিনশ স্পর্শ করে ৪৯ ওভারে। তাও এসেছে শেষদিকে সাইফউদ্দিনের ঝড়ো ব্যাটে। ১৫ বলে ৩টি ছক্কায় অপরাজিত ২৮ রান করেন তিনি। তবে ৫০ রানের কার্যকরী একটি ইনিংস খেলেছেন মিঠুন। ৪১ বলে ৫টি চার ও ১টি ছক্কায় এ রান করেন তিনি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ: ৫০ ওভারে ৩২১/৬ (লিটন ১২৬ আহত অবসর, তামিম ২৪, শান্ত ২৯, মুশফিক ১৯, মাহমুদউল্লাহ ৩২, মিঠুন ৫০, সাইফউদ্দিন ২৮*, মিরাজ ৭, মাশরাফি ০*; এমপোফু ২/৬৮, মুম্বা ১/৪৫, মাধেভেরে ১/৪৮, টিরিপানো ১/৫৬, রাজা ০/৫৬, মাটুমবোডজি ১/৪৭)।
Comments