স্নায়ুচাপই নাকি শাপেবর লিটনের!

ব্যাট করতে নেমেই খেলেছেন সাবলীল ভঙ্গিতে , নান্দনিক ব্যাটিংয়ে বরাবরের মতোই ছড়িয়েছেন মুগ্ধতা। পুরো অথরিটি নিয়ে সেঞ্চুরি তুলেও এগুচ্ছিলেন দুর্বার গতিতে। পেশিতে টান না পড়লে জিম্বাবুয়ের বোলাররা তাকে থামাতে পারবেন বলে মনেই হচ্ছিল না। অথচ এই ইনিংসে নামার আগের রাত থেকে নাকি ভীষণ স্নায়ুচাপে ভুগেছেন লিটন। ম্যাচ জিতিয়ে জানালেন এই স্নায়ুচাপই শাপেবর হয়েছে তার।
Liton Das
ফাইল ছবি: ফিরোজ আহমেদ

ব্যাট করতে নেমেই খেলেছেন সাবলীল ভঙ্গিতে , নান্দনিক ব্যাটিংয়ে বরাবরের মতোই ছড়িয়েছেন মুগ্ধতা। পুরো অথরিটি নিয়ে সেঞ্চুরি তুলেও এগুচ্ছিলেন দুর্বার গতিতে। পেশিতে টান না পড়লে জিম্বাবুয়ের বোলাররা তাকে থামাতে পারবেন বলে মনেই হচ্ছিল না। অথচ এই ইনিংসে নামার আগের রাত থেকে নাকি ভীষণ স্নায়ুচাপে ভুগেছেন লিটন। ম্যাচ জিতিয়ে জানালেন এই স্নায়ুচাপই শাপেবর হয়েছে তার।

রোববার সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে লিটন ব্যাট ছিল একই সঙ্গে আগ্রাসী ও পরিপাটি ব্যাটিংয়ের সেরা বিজ্ঞাপন। পেশিতে টান পড়ে মাঠ ছাড়ার আগে করেছেন ১০৫ বলে ১২৬ রান। কব্জির মোচড়, ফাঁকা জায়গা বের করে টাইমিংয়ের মুন্সিয়ানা দেখানো বাহারি ১৩ চার আর দুই ছক্কা ভরপুর ছিল তার ইনিংস। এতে ভর করে ৩২১ রান করে বাংলাদেশ ম্যাচ জিতেছে ১৬৯ রানে।

ব্যাটিংয়ে ফুল ফুটিয়ে আসার পর সংবাদ সম্মেলনেও পরিষ্কার চিন্তায় চমকপ্রদ ছিলেন এই ব্যাটসম্যান। জানালেন অনেকদিন পর ওয়ানডে খেলতে নামা আর ওপেন করার চিন্তায় ভুগেছিলেন স্নায়ুচাপে, ‘অনেকে হয়তো বোঝেননি, আমি অনেক নার্ভাস ছিলাম আজকে। কালকে রাত থেকেই অনেক নার্ভাস ছিলাম। কারণ, আমি অনেক দিন থেকেই ওয়ানডে খেলছি না। সবশেষ শ্রীলঙ্কায় আমি খেলিনি। তার পর, আমি জানতাম আজকে আমি ওপেন করব। ব্যাক অব দা মাইন্ডে আরও বেশি চাপ ছিল।’

স্বাভাবিকভাবে নার্ভাস থাকলে দেওয়া যায় না সেরাটা। লিটনের হয়েছে উলটো। বুকের ভেতরে ধুকপুকানি থেকেই হাতে থাকা শটের স্টকে দিয়েছিলেন তালা, নির্বাচিত কিছু শট নিয়ে চেয়েছেন আগাতে, যা দিনশেষে বেশ কার্যকর, ‘ ওই নাভার্সসেটা আমার মনে হয়, পজিটিভ হিসেবে কাজ করেছে মাঠে। যেহেতু নার্ভাস, আমাকে আরও ফোকাস নিয়ে খেলতে হবে। সব শট খেলা যাবে না। যদিও পারি সব শট, সব খেলা যাবে না। নাভার্সনেসের কারণে উইকেটে যতক্ষণ ছিলাম, ফোকাস খুব ভালো ছিল।’

‘আমি বিশ্বকাপে পাঁচে খেলেছি। অনেক দিন পর ওপেন করছি, সাদ বলে, এই বিষয়টি নিয়ে নার্ভাস ছিলাম। আমি তো নরম্যালি ওপেনই করি। অনেকদিন পর বলেই নার্ভাস ছিলাম।’

নার্ভাস থাকলে যদি এমন খেলেন। তবে সমর্থকরা যদি এমন খেলেন। তাহলে সমর্থকরা বলতেই পারেন, ‘লিটন, আপনি এমন স্নায়ুচাপেই থেকেই নামুন না প্রতিবার।’ সংবাদ সম্মেলন শেষে বেরিয়ে যাওয়ার পর অবশ্য কৌতুকভরা কণ্ঠে জবাব, ‘প্রতি ম্যাচে স্নায়ু চাপে থাকলে তো বলই খুঁজে পাব না (হাসি)।’

Comments

The Daily Star  | English
expediency

Expediency triumphs over principle in electoral politics

It appears that all of the ruling party’s efforts revolve around the next election, not considering longer-term ramifications for the itself.

6h ago