‘আমাদের ধর্মনিরপেক্ষতা হুমকিতে পড়বে, এমন পরিস্থিতি দেখতে চাই না’
বাংলাদেশের ধর্মনিরপেক্ষ ভাবমূর্তি নষ্ট হবে, এমন কোনো পরিস্থিতি বাংলাদেশ দেখতে চায় না বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী।
তিনি বলেন, ‘কেন্দ্রীয়ভাবেই আমরা ধর্মনিরপেক্ষতায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমাদের ধর্মনিরপেক্ষতা হুমকির মুখে পড়বে, এমন কোনো পরিস্থিতি আমরা দেখতে চাই না।’
আজ সোমবার সকালে রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (বিস) ও ভারতীয় হাইকমিশনের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।
সেমিনারে আরও বক্তব্য রাখেন, ভারতের পররাষ্ট্র সচিব হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা, বাংলাদেশে ভারতের হাইকমিশনার রীভা গাঙ্গুলি দাশ ও বিস’র চেয়ারম্যান ফজলুল করিম।
গওহর রিজভী বলেন, ‘ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশকে কয়েকবার আশ্বস্ত করেছেন যে এনআরসি (জাতীয় নাগরিকপঞ্জি) তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। এর কোনো প্রভাব বাংলাদেশে পড়বে না। আমরা তা মেনে নিয়েছি। এ নিয়ে আমাদের চিন্তা করা উচিত নয় এবং এটি বিশ্বাস করার যথেষ্ট কারণও আছে।’
‘সমাজে ধর্মনিরপেক্ষতা যাতে আরও শক্তিশালী হয়, তা নিশ্চিত করতে আমরা ভারতের সঙ্গে মিলে চেষ্টা চালিয়ে যাবো’, যোগ করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশে বসবাসরত সংখ্যালঘুরাও সমানভাবে এদেশের নাগরিক। কোনোভাবে কেউ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার প্রশ্নই আসে না।’
গওহর রিজভী বলেন, ‘সংখ্যালঘু নাগরিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত ও কল্যাণেই সরকার কাজ করছে।’
এর আগে আজ সকালে দুদিনের সফরে বাংলাদেশে এসে পৌঁছান ভারতীয় পররাষ্ট্র সচিব হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা। সকাল পৌনে ১০টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছালে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন তাকে স্বাগত জানান।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ৩১ আগস্ট আসামে এনআরসির চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করে ভারত সরকার। তালিকায় স্থান পান ৩ কোটি ১১ লাখ মানুষ, বাদ পড়েন ১৯ লাখ।
অন্যদিকে, ২০১৯ সালের ১১ ডিসেম্বর ভারতের পার্লামেন্টে পাস হয় সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ)। আইনে আফগানিস্তান, পাকিস্তান, বাংলাদেশ থেকে ২০১৫ সালের আগে ভারতে আশ্রয় নেওয়া অমুসলিমদের নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
Comments