সিএএ নিয়ে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে: শ্রিংলা
ভারতের সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) নিয়ে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে বলে জানিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্র সচিব হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা।
তিনি বলেন, ‘মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকেই আইনটি গৃহীত হয়েছে। অন্যভাবে বলতে গেলে, এটির মাধ্যমে যারা শরণার্থী হিসেবে কিংবা রাজনৈতিক নিপীড়নের শিকার হয়ে বিভিন্ন সময়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন, তাদের দ্রুত নাগরিত্ব পাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।’
আজ সোমবার সকালে রাজধানীর হোটেল প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁওয়ে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (বিস) ও ভারতীয় হাইকমিশনের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।
সেমিনারে আরও বক্তব্য রাখেন, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী, বাংলাদেশে ভারতের হাইকমিশনার রীভা গাঙ্গুলি দাশ ও বিস’র চেয়ারম্যান ফজলুল করিম।
হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা বলেন, ‘ভারতে বর্তমানে লাখো মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন, যারা ঘর ও রাষ্ট্রহীন। এ আইনের মাধ্যমে তারা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ভারতে নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবেন। এর মানে, ১০ বছরের পরিবর্তে ৫ বছরেই তারা নাগরিকত্ব পাবেন।’
‘গত ১০ বছরে পাঁচ হাজার পাকিস্তানিকে ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়া হয়েছে’— উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘তবে এর মানে এই নয় যে, অন্যরা এই আইনের মাধ্যমে উপকৃত হবেন না। ভারতে নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করার স্বাভাবিক প্রক্রিয়াও রয়েছে।’
‘সিএএ কোনো ধর্মের বিরুদ্ধে নয়। যারা নিপীড়নের শিকার হয়েছেন, তাদের জন্যই এটি’, যোগ করেন তিনি।
শ্রিংলা বলেন, ‘বাংলাদেশের সংবিধানে যেহেতু ধর্মনিরপেক্ষতার কথা বলা হয়েছে এবং আইনও সেই অনুযায়ী কার্যকর, সেহেতু বর্তমান সরকারের অধীনে এদেশে বসবাসরত সংখ্যালঘুরা ভালো আছেন।’
‘ভারত যে নিপীড়নের কথা বলছে, সেটি ১৯৭৫ সাল পরবর্তী সময়ের কথা। যখন ধর্মনিরপেক্ষতার কোনো চেতনা ছিল না’, বলেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, এনআরসি ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। এর কোনো প্রভাব বাংলাদেশে পড়বে না।
আরও পড়ুন:
‘আমাদের ধর্মনিরপেক্ষতা হুমকিতে পড়বে, এমন পরিস্থিতি দেখতে চাই না’
Comments