রাজা-মাধেভেরের ব্যাটে ঘুরে দাঁড়িয়েছে জিম্বাবুয়ে
লক্ষ্যটা বেশ বড়। এমন লক্ষ্য তাড়ায় দলীয় ১০৪ রানেই শেষ টপ অর্ডারের চার ব্যাটসম্যান। ফলে বেশ বড় চাপেই পড়েছিল জিম্বাবুয়ে। তবে টাইগারদের মাথা ব্যাথার কারণ হয়ে ঘুরে দাঁড়িয়েছেন ওয়েসলি মাধেভেরে ও সিকান্দার রাজা। এ দুই ব্যাটসম্যানের ব্যাটে সিরিজে টিকে থাকার স্বপ্ন দেখছে সফরকারীরা।
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ ৩৬ ওভারে ৪ উইকেটে ১৮২ রান। ৪২ রানে ব্যাট করছেন রাজা। মাধেভেরের সংগ্রহ ৫২ রান। এ জুটি এখন পর্যন্ত ৭৮ রান ছাড়িয়েছে। তবে জিততে হলে এখনও ১৪১ রান করতে হবে দলটিকে।
শুরুতে কিছুটা দেখে খেললেও ধীরে ধীরে আগাসি হয়ে উঠছেন মাধেভেরে ও রাজা দুই জনই। মাঝে মধ্যেই বাউন্ডারি হাঁকিয়ে রানের গতি সচল রাখছেন এ দুই ব্যাটসম্যান। দ্রুত এ জুটি ভাঙতে না পারলে নিঃসন্দেহে ভোগান্তি বাড়তে পারে টাইগারদের। এর মধ্যে রিভিউও নষ্ট করেছে তারা।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে। রেগিস চাকাভাকে (২) লিটন কুমার দাসের তালুবন্দি করে ফেরান শফিউল ইসলাম। এরপর তিন নম্বরে অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান ব্রেন্ডন টেইলর (১১) অসাধারণ এক ফিল্ডিংয়ে রানআউট করে ফেরান মেহেদী হাসান মিরাজ।
শফিউলে বলে মিডঅনে ঠেলে সিংলে নিতে চেয়েছিলেন টেইলর। ঝাঁপিয়ে পরে বাঁ হাতে বল ধরে দ্রুত হাত বদল করে দারুণ থ্রোতে স্টাম্প ভাঙেন মিরাজ। টেইলর তখনও উইকেটের প্রায় মাঝপথে। ২১ বলে ১১ রান করেন এ ব্যাটসম্যান।
এরপর বল হাতে জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক শেন উইলিয়ামসকেও (১৪) ফেরান মেরাজ। তাকে এলবিডাব্লিউর ফাঁদে ফেলেন তিনি। তবে অন্য প্রান্তে ভালো ব্যাট করছিলেন ওপেনার টিনাশে কামুনহুকাম্বে। তাকে তাইজুল বোল্ড করলে স্বস্তি ফিরে আসে টাইগার শিবিরে। তবে এর আগেই ৫১ রানের ইনিংস খেলেন এ ওপেনার।
এর আগে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ৩২২ রান তুলেছে বাংলাদেশ। আগের ম্যাচেই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সর্বোচ্চ রানের নতুন রেকর্ড গড়েছিল বাংলাদেশ। পরের ম্যাচেই সে রেকর্ড ভেঙে নতুন রেকর্ড গড়ল টাইগাররা।
আর এর সবটাই সম্ভব হয়েছে তামিমের সৌজন্যে। তার ১৫৮ রানের ইনিংসটি ওয়ানডেতে বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানদের মধ্যেও সর্বোচ্চ। তবে সংগ্রহটা আরও বড় হতে পারত। কারণ তামিমের বিদায়ের পর ২৬ বলে আরও ৩টি উইকেট হারিয়ে মাত্র ৩০ রান যোগ করতে পেরেছে বাংলাদেশ।
Comments