কঠিন করে জেতার ইতিবাচক দিক দেখছেন অধিনায়ক
৩২৩ রানের বিশাল লক্ষ্যে ইনিংসের অর্ধেক পর ৪ উইকেটে ১০৬ করেছিল জিম্বাবুয়ে। নিশ্চিতভাবেই তারা ছিল বড় হারের সামনে। অথচ ডোনাল্ড টিরিপানোর ব্যাটে অবিশ্বাস্যভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে জয়েরও কাছে চলে যায় তারা। ম্যাচ শেষে বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি মর্তুজা জানালেন, সহজ কাজটা কঠিন করে করাতেও আছে ইতিবাচক দিক।
মঙ্গলবার সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের ৩২২ রানের জবাবে জিম্বাবুয়ে থেমেছে ৩১৮ রানে। শেষ তিন বলে তাদের দরকার ছিল ১২ রান। ছক্কা মেরে শেষ দুই বলে ৬ রানের হিসাবে নামিয়ে এনেছিল তারা। পঞ্চম বলে আম্পায়ার নিশ্চিত ওয়াইড না দেওয়ার পর শেষ বল থেকে আসেনি ১ রানের বেশি।
রোমাঞ্চ ছড়িয়েই তাই হয়েছে মীমাংসা। ম্যাচ শেষে এরকম জম্পেশ লড়াইয়ের ভালো দিকটা ধরা পড়েছে অধিনায়কের কণ্ঠে, ‘ভালো হয়েছে এটা যে এই ধরনের কঠিন জয়, কাদের বিপক্ষে সেটা মুখ্য নয়, এ ধরনের কঠিন জয়, অনেক সময় বড় ম্যাচে সাহায্য করে। কোন ধরনের পরিস্থিতিতে নার্ভ কিভাবে কাজ করে, বোঝা যায়।’
অনেকগুলো উইকেট তোলে নেওয়ার পরও মাঝের ওভারে জিম্বাবুয়ের হাল ধরেন সিকান্দার রাজা, ওয়েসলি মাধেভেরে। মাশরাফি জানান ওই সময়টায় ব্যাটসম্যানদের থিতু হতে সহায়তা করেছে শিশিরও, ‘যখন ওদের রান ১৪০ ছিল, সিকান্দার রাজা ব্যাট করছিল। অনেক শিশির পড়ছিল। উইকেটে গ্রিপ করছিল না। বল ব্যাটে আসছিল ভালো। বোলারদের শক্তির জায়গাগুলো কাজ করছিল না। আমার কাছে মনে হয়, এটা সমস্যা হয়েছে।’
‘আজ শিশির বেশি ছিল। উইকেট ১০ ওভারের পর আরও বেশি ব্যাটিং বান্ধব হয়ে গিয়েছিল।’
শেষ দিকে দুই পেসার শফিউল ইসলাম আর আল-আমিন হোসেনকে বেদম চার-ছয় পেটান জিম্বাবুয়ের ব্যাটসম্যানরা। মিরাজের ওভার বাকি থাকলেও অধিনায়ক তার হাতে বল দিতে পারেননি শিশিরের কারণে, ‘মিরাজের সামনে দুজন সেট ব্যাটসম্যান ছিল। ডানহাতি ব্যাটসম্যান ছিল, চার্জ করার সুযোগ বেশি ছিল। তাইজুলের আজকে সমস্যা হচ্ছিল। ওরা যেটাই চার্জ করছিল ডাউন দ্য উইকেটে এসে, ভালো সংযোগ হচ্ছিল। কারণ বল গ্রিপ করছিল না।’
Comments