তামিমের কাছে তবু সেই ইনিংসই এগিয়ে

২০০৯ সালে জিম্বাবুয়ে সফরে তামিম ইকবাল খেলেছিলেন চোখ ধাঁধানো ইনিংস, গড়েছিলেন রেকর্ড। বাংলাদেশ পেয়েছিল তিনশোর বেশি রান তাড়ায় প্রথম জয়। গেল মঙ্গলবার ১১ বছর আগের ১৫৪ রানের ইনিংসকেও ছাড়িয়ে যান তামিম। কিন্তু সেটা যেন কেবল রানের সংখ্যায়। মাহাত্ম্যের হিসেবে আগেরটাকেই যে ঢের এগিয়ে রাখছেন তিনি।
Tamim Iqbal
ছবি: ফিরোজ আহমেদ

২০০৯ সালে জিম্বাবুয়ে সফরে তামিম ইকবাল খেলেছিলেন চোখ ধাঁধানো ইনিংস, গড়েছিলেন রেকর্ড। বাংলাদেশ পেয়েছিল তিনশোর বেশি রান তাড়ায় প্রথম জয়। গেল মঙ্গলবার ১১ বছর আগের ১৫৪ রানের ইনিংসকেও ছাড়িয়ে যান তামিম। কিন্তু সেটা যেন কেবল রানের সংখ্যায়। মাহাত্ম্যের হিসেবে আগেরটাকেই যে ঢের এগিয়ে রাখছেন তিনি।

মঙ্গলবার সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ১৩৬ বলে ২০ চার, ৩ ছক্কায় তামিম খেলেন ১৫৮ রানের ইনিংস। ওয়ানডেতে বাংলাদেশের হয়ে কোন ব্যাটসম্যানের যা সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রানের ইনিংস।

বুধবার টিম হোটেলে তামিমের কাছে প্রশ্ন গিয়েছিল, বুলাওয়ে নাকি সিলেট? ২০০৯ নাকি ২০২০, কোনটা এগিয়ে তামিমের কাছে? কোন দ্বিধা না রেখেই এগারো বছর আগের ওই ইনিংসকেই এগিয়ে রাখলেন পরিসংখ্যানে দেশের সেরা ওপেনার,  ‘অবশ্যই ২০০৯ সালেরটা। কারণ আমার কাছে মনে হয় ওখানে প্রথমবার আমরা ৩০০ রানের বেশি তাড়া  করে ম্যাচ জিতেছিলাম। একইসঙ্গে এখন ৩০০ রানটা যতো সহজে মানুষ দেখে, ওই সময় কিন্তু ৩০০ রানটা অতো সহজে দেখতো না। ৩০০ রান ওই সময়ের, এখনকার ৪০০ রানের মতো।’

ওই ম্যাচের বিশেষ আরেক মাহাত্ম আছে তার কাছে। দল হিসেবে তিনশো তাড়া করার বিশ্বাস তখনই পেয়েছিল বাংলাদেশ, ওই ইনিংস তাই স্পেশাল, ‘ওই সময় যে আমরা ৩০০ রান তাড়া করতে পারবো এই বিশ্বাসটাই হয়তোবা আমাদের খুব বেশি মানুষের কাছে ছিল না। আমার কাছেও ছিল না। কিন্তু যেভাবে করে আমরা ইনিংস গড়েছিলাম ওই ম্যাচে, সেজন্য অবশ্যই ওই ইনিংসটাকে আমি কালকের তুলনায় এগিয়ে রাখবো।’

আরেকটা কারণেও ইনিংসটা এগিয়ে রাখতে পারতেন তামিম। প্রতিপক্ষ একই হলেও ১৫৪ রান তামিম করেছিলেন বিপক্ষে মাঠে। এবার চার রান বেশি করলেও রানটা এল দেশের চেনা কন্ডিশনে।

অবশ্য একটা জায়গায় এবারের ইনিংসে আলাদা আরেক অর্জন আছে তামিমের। সেবার ১৫৪ রান করলেও ম্যাচ সেরার পুরস্কার তাকে ভাগ করতে হয়েছিল চার্লস কভেন্ট্রির সঙ্গে। জিম্বাবুয়ের ব্যাটসম্যান যে সাঈদ আনোয়ারের তৎকালীন ১৯৪ রানের রেকর্ড ইনিংসই স্পর্শ করে বসেছিলেন। এবার অবশ্য তামিমকে ম্যাচ সেরার পুরস্কার ভাগাভাগি করতে হয়নি।

 

 

Comments

The Daily Star  | English

One month of interim govt: Yunus navigating thru high hopes

A month ago, as Bangladesh teetered on the brink of chaos after the downfall of Sheikh Hasina, Nobel Laureate Muhammad Yunus returned home to steer the nation through political turbulences.

10h ago