মুজিবশতবর্ষের ব্যানার টাঙ্গানোকে কেন্দ্র করে ইউএনওকে ছুটি
মুজিবশতবর্ষের ব্যানার টাঙ্গানোকে কেন্দ্র করে উপজেলা হর্কাস লীগের সভাপতি মো. মমিনের সঙ্গে বিরোধ বাঁধে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের গাড়িচালক মো. শাহজালালের। এ ঘটনায় তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা না নেওয়ায় ২৪ ঘণ্টার মধ্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) প্রত্যাহার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন কুমিল্লা-২ আসনের সংসদ সদস্য সেলিমা আহমাদ। বুধবার, সংবাদ সম্মেলনের এক দিন পরই ছুটি নিয়ে কর্মস্থল ত্যাগ করেছেন হোমনার ইউএনও তপ্তি চাকমা।
হকার্স লীগের নেতা মমিনের অভিযোগ, গত রোববার রাতে সদর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় মুজিব শতবর্ষের ব্যানার টাঙ্গানোর সময় উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রেহানা বেগমের গাড়িচালক মো. শাহজালাল বাধা দেন ও এক পর্যায়ে মারধর করেন।
মমিন বলেন, ‘ইউএনওর কাছে অভিযোগ জানানোর পর তিনি আমাকে বলেন যে ওটা ড্রাইভারের জায়গা, তাই উনি (ড্রাইভার) সেখানে ব্যানার লাগাতে মানা করেছেন। আমি তখন বলি, বাংলাদেশের আকাশ, মাটি, এমন কোনো জায়গা নেই যেখানে বঙ্গবন্ধুর ছবি টানানো যাবে না। তখন ইউএনও আমাকে উপজেলা চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলতে বলেন।’
উপজেলা চেয়ারম্যানের গাড়িচালকের বিচার না করায় মঙ্গলবার সকালে ইউএনওর প্রত্যাহার চেয়ে হকার্স লীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে। ওই দিনই সংসদ সদস্য সেলিমা আহমাদ ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ইউএনওর প্রত্যাহার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন।
এদিকে, অভিযোগ পাওয়ার পরপরই শাহজালালকে ডেকে ঘটনাটি মিটমাট করে দেওয়ার কথা জানান ইউএনও তপ্তি চাকমা। তিনি বলেন, ‘অভিযোগ পাওয়ার পর আমি দুজনকে ডেকে আনি। তারা দুজনই উচ্চস্বরে ঝগড়া করছিল। আমি তাদেরকে শাস্তির ভয় দেখাই। পরে মমিনের কাছে শাহজালাল ক্ষমা চান। কিন্তু এরপর কেন আমার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল হলো বুঝতে পারছি না।’
মমিন বলেন, ‘শাহজালাল আমাকে “সরি” বলেছে। কিন্তু, আমি এই বিচার মানি না।’
শাহজালাল বলেন, ‘বাস স্ট্যান্ডে আমার একটি দোকান আছে। কয়েকজন দোকানের চালায় উঠে ব্যানার লাগাচ্ছিলেন বলে আমি তাদেরকে চালা থেকে নেমে যেতে বলি। বলি, দোকানের নড়বড়ে চালা ভেঙে যেতে পারে। কাউকে মারধর বা গালিগালাজ করিনি। আমি এই ঘটনার জন্য ক্ষমা চেয়েছি।’
কুমিল্লার জেলা প্রশাসক আবুল ফজল মীর দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘হোমনার ইউএনও তপ্তি চাকমা ব্যক্তিগত কারণে ছুটিতে গিয়েছেন। উনাকে প্রত্যাহার করা হয়নি।’
Comments