কোভিড-১৯ ও ফ্লুর পার্থক্য

ফাইল ফটো এএফপি

করোনাভাইরাসের প্রভাবে হওয়া রোগ কোভিড-১৯ সারাবিশ্বে এমনভাবে ছড়িয়ে পড়েছে যে, মানুষের মধ্যে তীব্র ভীতি কাজ করছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও এ রোগ নিয়ে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে। ফলে, সামান্য জ্বর হলেই কোভিড-১৯ এর ভীতি চলে আসছে মানুষের মধ্যে। কিন্তু, কোভিড-১৯ এবং ফ্লু সম্পূর্ণ ভিন্ন জিনিস।

কোভিড-১৯ ও ফ্লুর উপসর্গ

উভয়ের কারণেই জ্বর, কাশি, অবসন্নতাজনিত উপসর্গ দেখা যায়। কখনো কখনো বমি এবং ডায়রিয়া হতে পারে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে এগুলো মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে। এমনকি নিউমোনিয়াও হতে পারে।

যেভাবে ছড়ায়

উভয়ই সংক্রামিত ব্যক্তির কাশি, হাঁচি বা কথা বলার সময় বের হওয়া লালার মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। উপসর্গ প্রকাশের আগেই যে কেউ ফ্লুতে আক্রান্ত হতে পারেন। কোভিড-১৯ ক্ষেত্রেও একই ধরনের তথ্য দেওয়া হচ্ছে। যদিও তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।  

চিকিত্সা

এসব ভাইরাসের অ্যান্টিবায়োটিক দিয়ে চিকিত্সা করা যায় না। কারণ, অ্যান্টিবায়োটিক শুধুমাত্র ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ প্রতিরোধে কাজ করে। তাই লক্ষণ দেখে চিকিৎসা করতে হবে এবং গুরুতর ক্ষেত্রে হাসপাতালে ভর্তির প্রয়োজন হতে পারে।

প্রতিরোধ

কোভিড-১৯ এবং ফ্লু প্রতিরোধে ঘন ঘন হাত ধুতে হবে। অসুস্থ অবস্থায় অন্যদের থেকে আলাদা থাকতে হবে।

করোনোভাইরাস ও ফ্লুর মধ্যে পার্থক্য

যে কোনো ধরনের ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের কারণে ফ্লুতে আক্রান্ত হতে পারেন মানুষ। আর কোভিড-১৯ এর জন্য শুধুমাত্র নতুন করোনাভাইরাস দায়ী। যা বর্তমানে সার্স-কোভ-২ নামে পরিচিত।

ভ্যাকসিন

ফ্লু মারাত্মক আকার ধারণ করলে তার তীব্রতা কমাতে ভ্যাকসিন পাওয়া যায় এবং তা কার্যকর। কিন্তু, কোভিড-১৯ এর চিকিৎসায় এখনও কোনো ভ্যাকসিন তৈরি হয়নি।

সংক্রমণ

বিশ্বব্যাপী ফ্লুতে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা আনুমানিক এক বিলিয়ন। আর কোভিড-১৯ এ এখন পর্যন্ত ৯৭ হাজার আক্রান্ত হয়েছে।

কারা কোভিড-১৯ আক্রান্ত হচ্ছেন?

জ্বর বা কাশি মানেই কোভিড-১৯ নয়। এতে শুধুমাত্র তারাই আক্রান্ত হচ্ছেন যারা চীন, ইতালি ভ্রমণ করেছেন  বা কোনও আক্রান্তের সংস্পর্শে এসেছেন।

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

Comments

The Daily Star  | English

UK govt unveils 'tighter' immigration plans

People will have to live in the UK for 10 years before qualifying for settlement and citizenship

1h ago