ধর্ষণ প্রতিরোধে গঠন হবে কমিশন
ধর্ষণের ঘটনা সম্প্রতি বেড়ে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে একটি কমিশন গঠনের উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার।
ধর্ষণ বন্ধে গত জানুয়ারিতে আইন মন্ত্রণালয়ের অধীনে কমিশন গঠনের নির্দেশনা দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। আইনমন্ত্রী আনিসুল হক গতকাল শুক্রবার দ্য ডেইলি স্টারকে বলেছেন, হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী খুব শিগগির কমিশন গঠনের কাজ শুরু করা হবে।
প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘অপরাধীদের সাজা নিশ্চিত করতে “নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন-২০০০” এ প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনা হবে।’
২০১৯ সালে দেশে এক হাজার ৪১৩ জন নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। আগের বছরের তুলনায় সে বছর দিগুণ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। আইন ও সালিশ কেন্দ্রের প্রতিবেদনে উঠে আসা তথ্য থেকে আরও দেখা যায়, ধর্ষণের পর ৭৬ জনকে হত্যা ও আত্মহত্যা করেন ১০ জন।
গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর প্রকাশিত প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, ২০১৮ সালে ৭৩২ জন ও ২০১৭ সালে দেশে ৮১৮ জন ধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন।
গত ১৯ জানুয়ারি এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে নারীর প্রতি সহিংসতা ও ধর্ষণ বন্ধে হাইকোর্ট সরকারকে একটি কমিশন গঠনের নির্দেশ দেন। আইন সচিবকে আদেশ পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে মন্ত্রণালয়ের এক জন অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে এই কমিশন গঠন করতে বলা হয়। আইনজীবী, বিচারক, মানবাধিকার কর্মী, গণমাধ্যম কর্মী, চিকিৎসক ও সম্মতি সাপেক্ষে ভিকটিমকে এই কমিশনের সদস্য করতে বলা হয়। ধর্ষণ বন্ধে করণীয় নির্ধারণে কমিশন থেকে ছয় মাসের মধ্যে সুপারিশ চেয়েছেন আদালত।
Comments