দক্ষিণখানে তিন খুন: ৩ সপ্তাহে খোঁজ মেলেনি প্রধান আসামির

রাজধানী ঢাকার দক্ষিণখানে ত্রিপল মার্ডারের তিন সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও প্রধান সন্দেহভাজন আসামি রাকিব উদ্দিন ভূঁইয়ার খোঁজ পাওয়া যায়নি। পুলিশ জানিয়েছে, আসামিকে ধরতে অভিযান চালানো হচ্ছে। সেই সঙ্গে রেল ট্র্যাকে বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে।
Raqube_Uddin_Bhuia
রাকিব উদ্দিন ভূঁইয়া। ছবি: সংগৃহীত

রাজধানী ঢাকার দক্ষিণখানে ত্রিপল মার্ডারের তিন সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও প্রধান সন্দেহভাজন আসামি রাকিব উদ্দিন ভূঁইয়ার খোঁজ পাওয়া যায়নি। পুলিশ জানিয়েছে, আসামিকে ধরতে অভিযান চালানো হচ্ছে। সেই সঙ্গে রেল ট্র্যাকে বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে।

গত ১৪ ফেব্রুয়ারি দক্ষিণখানের প্রেমবাগান এলাকার একটি বাসা থেকে মুন্নী রহমান (৩৭) এবং তার দুই সন্তান ফারহান উদ্দিন (১২) ও লায়েভা ভূঁইয়ার (৩) মরদেহ পাওয়া যায়। সে সময় পুলিশ জানায়, কয়েকদিন আগে তাদের হত্যা করা হয়। মরদেহগুলো পচে গেছে।

ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, মুন্নীকে হাতুড়ি জাতীয় কিছু দিয়ে পিটিয়ে ও দুই সন্তানকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়।

পুলিশ আরও জানায়, দক্ষিণখানের ওই বাসায় একটি চিরকুট পাওয়া গিয়েছিল। যাতে মুন্নীর স্বামী রাকিব উদ্দিন ভূঁইয়া হত্যার দায় স্বীকার করেছেন। সেই সঙ্গে তিনি বলেন, রেল লাইনের পাশে তার মরদেহ পাওয়া যাবে।

দক্ষিণখান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নাসির উদ্দিন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, আমরা রাকিবকে খুঁজে বের করতে অনেক চেষ্টা করেছি। কিন্তু তার খোঁজ পাইনি। চিরকুটের হাতের লেখা রাকিব উদ্দিনের কি না তা নিশ্চিত হতে ফরেনসিক বিভাগের প্রতিবেদন আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। তারপরও রেল লাইনের পাশে কোনো মরদেহ পাওয়া গেলে বিশেষ গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, রাকিব উদ্দিনই হত্যাকারী। তার সঙ্গে অন্য কেউ জড়িত ছিল কি না সেটা তাকে গ্রেপ্তারের পরে নিশ্চিত হওয়া যাবে।

পুলিশ জানায়, রাকিব বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশনস কোম্পানি লিমিটেডের উত্তরা কার্যালয়ে কাজ করতেন। মোটা অংকের ঋণ নেওয়ায় তিনি অর্থনৈতিক সমস্যায় জড়িয়ে পড়েছিলেন।

আরও পড়ুন:

রাজধানীর দক্ষিণখানের বাসায় মা ও দুই সন্তানের মরদেহ

Comments

The Daily Star  | English

One month of interim govt: Yunus navigating thru high hopes

A month ago, as Bangladesh teetered on the brink of chaos after the downfall of Sheikh Hasina, Nobel Laureate Muhammad Yunus returned home to steer the nation through political turbulences.

7h ago