শুধু ইতালিতেই কোয়ারেন্টাইনে ১ কোটি ১৬ লাখ

চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহর থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসে বিশ্বব্যাপী আক্রান্তের সংখ্যা ইতোমধ্যে এক লাখ ছাড়িয়েছে। ভাইরাসটির সংক্রমণ চীনে কমতে শুরু করলেও বাড়ছে দক্ষিণ কোরিয়া, ইরান, ইতালি, জার্মানি ও ফ্রান্সসহ আরও কয়েকটি দেশে। এর মধ্যে ইতালির উত্তরাঞ্চলের লোমবার্ডি অঞ্চলসহ এর আশপাশের ১০টি এলাকার ১ কোটি ১৬ লাখ বাসিন্দাকে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। এ ছাড়া, কয়েকটি দেশে নতুন আক্রান্ত ব্যক্তিও শনাক্ত হচ্ছে।
Coronavirus
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে নিজেদের রক্ষায় মাস্ক পরছেন ইতালির নাগরিকরাও। ছবি: রয়টার্স

চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহর থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসে বিশ্বব্যাপী আক্রান্তের সংখ্যা ইতোমধ্যে এক লাখ ছাড়িয়েছে। ভাইরাসটির সংক্রমণ চীনে কমতে শুরু করলেও বাড়ছে দক্ষিণ কোরিয়া, ইরান, ইতালি, জার্মানি ও ফ্রান্সসহ আরও কয়েকটি দেশে। এর মধ্যে ইতালির উত্তরাঞ্চলের লোমবার্ডি অঞ্চলসহ এর আশপাশের ১০টি এলাকার ১ কোটি ১৬ লাখ বাসিন্দাকে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। এ ছাড়া, কয়েকটি দেশে নতুন আক্রান্ত ব্যক্তিও শনাক্ত হচ্ছে।

বিশ্বের অন্তত ৯৭টি দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্ত করা হয়েছে। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বিশ্বব্যাপী মারা গেছেন ৩ হাজার ৫৯৭ জন। আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ৫ হাজার ২৪ জন।

আজ রোববার রয়টার্স, সিএনএন ও সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

চীনের সরকারি হিসাবে, করোনাভাইরাসে দেশটিতে এখন পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন ৩ হাজার ৯৭ জন। আক্রান্তের সংখ্যা ৮১ হাজারের মতো।

চীনে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ কমতে শুরু করলেও কয়েকটি দেশে তা বাড়ছে। চীনের পরেই বেশি আক্রান্ত রয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ায়। দেশটিতে করোনাভাইরাসে মারা গেছেন ৫০ জন। আক্রান্তের সংখ্যা ৭ হাজার ১৩৪।

ইরানে করোনাভাইরাসে মারা গেছেন ১৪৫ জন এবং মোট আক্রান্ত ৫ হাজার ৮২৩ জন। এ ছাড়া, ফ্রান্সে মারা গেছেন ১৬ জন ও আক্রান্ত ৯৪৯ জন এবং জার্মানিতে ৬৩৯ জন আক্রান্ত হলেও এখন পর্যন্ত কেউ মারা যাওয়ার সংবাদ পাওয়া যায়নি।

ইতালির উত্তরাঞ্চলে কোয়ারেন্টাইনে ১ কোটি ১৬ লাখ

করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে ইতালির উত্তরাঞ্চলের লোমবার্ডি অঞ্চলসহ এর আশপাশের ১০টি এলাকার ১ কোটি ১৬ লাখ বাসিন্দাকে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।

দেশটির প্রধানমন্ত্রী জিউসেপ কোঁতে বলেছেন, আগামী ৩ এপ্রিল পর্যন্ত লোমবার্ডি অঞ্চলসহ এর আশপাশের ১০টি এলাকায় কেউ ভ্রমণ করতে পারবেন না এবং সেখানকার কেউ অন্য কোথাও যেতে পারবেন না।

সর্বশেষ সংবাদ অনুযায়ী, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ইতালিতে মারা গেছেন ২৩৩ জন। আক্রান্ত রয়েছেন ৫ হাজার ৮৮৩ জন।

এ ছাড়া, চলতি সপ্তাহেই ইতালির স্কুল, বিশ্ববিদ্যালয় ও সিনেমা হল বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে দেশটির সরকার।

ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে তামিলনাড়ু-লাদাখে

ভারতের দক্ষিণে তামিলনাড়ুতে একজন ও উত্তরে লাদাখে দুই জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এ ছাড়া, কেরালায় একই পরিবারের পাঁচ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের মধ্যে, কেরালার পাঁচ জন ইতালি, লাদাখের দুই জন ইরান ও তামিলনাড়ুর একজন ওমান ভ্রমণ করেছিলেন।

ভারতের সরকারি হিসাব অনুযায়ী, দেশটিতে করোনাভাইরাসে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৯ জনে।

জাপানে সরকারি হিসাবের চেয়েও কয়েকগুণ বেশি আক্রান্ত!

জাপানের সরকারি হিসাব অনুযায়ী, দেশটিতে করোনাভাইরাসে মারা গেছেন ছয় জন এবং আক্রান্ত ৪০৭ জন। কিন্তু, দেশটির ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ইনফেকশাস ডিজিস বলছে, সরকারি হিসাবের চেয়েও কয়েকগুণ বেশি মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত।

নিউইয়র্কে জরুরি অবস্থা

করোনাভাইরাসের জেরে নিউইয়র্কে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। সেখানে আক্রান্ত হয়েছেন ৮৯ জন।

মার্কিন সরকারের তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে দেশটিতে মারা গেছেন ১৯ জন এবং আক্রান্ত ৪৩৭ জন।

Comments