সৌদি আরব-রাশিয়া দ্বন্দ্বে অপরিশোধিত তেলের বাজারে ধস
রাশিয়ার সঙ্গে সৌদি আরবের তেলের উৎপাদন নিয়ে টানাপড়েনের মধ্যেই তেলের দামে ধস নেমেছে। বিশ্বের বৃহত্তম তেল রপ্তানিকারক দেশ, সৌদি আরব এপ্রিল মাসে তেলের উৎপাদন আরও বাড়ানোর ঘোষণায় আজ সোমবার অপরিশোধিত তেলের দাম পড়ে গেছে প্রায় ৩০ শতাংশ।
সকালে ব্রেন্ট ক্রুড অয়েলের দর কমে দাঁড়ায় ব্যারেলপ্রতি ৩৩ ডলারে। যা গত ২৯ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। ১৯৯১ সালে উপসাগরীয় যুদ্ধের সময় তেলের দরে ধস নেমেছিল।
বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসের কারণে তেলের চাহিদা কমতে থাকায়, রপ্তানিকারক দেশগুলোর শীর্ষ সংগঠন ওপেক তেলের উৎপাদন কমানোর সিদ্ধান্ত নেয়। গত বৃহস্পতিবার অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় এক বৈঠকে তেলের দাম নিয়ন্ত্রণে অপরিশোধিত তেলের উৎপাদন দিনে ১৫ লাখ ব্যারেল কমানোর প্রস্তাব করে ওপেক।
এর মধ্যে ১০ লাখ ব্যারেল উৎপাদন কমাবে ওপেকের ১৩ সদস্য দেশ। বাকি ৫ লাখ ব্যারেল তেলের উৎপাদন রাশিয়া কমাবে বলে আশা করা হয়। তবে রাশিয়া এ প্রস্তাবে রাজি নয়। এরপরই তেলের বাজারে ব্যাপক দরপতন শুরু হয়।
শনিবার সৌদি আরবের রাষ্ট্রায়ত্ব প্রতিষ্ঠান আরামকো তেলের দাম কমিয়ে দেয়। এটি এপ্রিলের অপরিশোধিত তেলের চালানে ব্যারেলপ্রতি ৬ থেকে ৮ ডলার কমিয়ে দেয়। যার প্রভাবে দুই দিনের ছুটির পর সোমবার দিনের মুরুতেই হোঁচট খায় পুঁজিবাজার।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, রাশিয়ার ওপর চাপ বাড়াতেই তেলের দাম কমিয়েছে সৌদি আরব।
তেলের দামের প্রভাব পড়েছে বিশ্ব পুঁজিবাজারে। করোনাভাইরাসের কারণে পুঁজিবাজারে নেতিবাচক প্রবণতা চলছিলই। তার ওপর তেলের দর পড়ে যাওয়ার প্রভাবে সোমবার বিশ্বের প্রধান প্রধান পুঁজিবাজারে ব্যাপক দরপতন হয়েছে। বাংলাদেশের পুঁজিবাজারেও এদিন ব্যাপক দরপতন হয়। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ২৭৯ পয়েন্ট বা ৬ দশমিক ৫১ শতাংশ।
Comments